এ. আর. খানঃ বিজিবি’র মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)-এর ব্যাটালিয়ন সদর এবং মাধবখালী বিওপি হতে দুটি পৃথক টহলদল দুটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একজন স্বর্ণ পাচারকারীসহ ০৪টি স্বর্ণের বার এবং ০৪টি অত্যাধুনিক বিদেশী (ভারতীয়) এয়ারগান উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
মহেশপুর ব্যাটালিয়ন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, দত্তনগর হয়ে একজন ইজিবাইক চালক স্বর্ণের চালানসহ মহেশপুরের বাঘাডাংগা সীমান্তের দিকে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ব্যাটালিয়ন সদর থেকে হাবিলদার সৈয়দ আমিনুল হকের নেতৃত্বে বিজিবি’র একটি টহলদল পদ্ম পুকুর ডিগ্রী কলেজের নিকট গিয়ে ওৎ পেতে থাকে। পরবর্তীতে ইজিবাইকটি টহলদলের নিকট পৌছালে টহলদল ইজিবাইকটির গতিরোধ করে এবং চালক মোঃ বায়েজিদ মিয়া (২১), পিতা- মৃত নাছির উদ্দিন, গ্রাম-
বাঘাডাংগা, পোষ্ট- নেপা, থানা- মহেশপুর, জেলা- ঝিনাইদহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তার দেহ তল্লাশি করে কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো বিশেষ কায়দায় লুকানো ০৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। জব্দকৃত স্বর্ণের আনুমানিক ওজন-৪৬৬.৩৮ গ্রাম এবং বর্তমান সিজারমূল্য ৩৪,৫৮,৮৩০/- (চৌত্রিশ লক্ষ আটান্ন হাজার আটশত ত্রিশ) টাকা। স্বর্ণের বার শুল্ককর ফাকি দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য পরিবহন করা ও অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজ জিম্মায় রাখায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবখালী বিওপি’র টহলদল জানতে পারে যে, মাধবখালী সীমান্তের নিকট ময়নাগাড়ী মাঠ নামক স্থান দিয়ে ভারত থেকে ০৩ জন লোক কাধে করে প্লাস্টিকের বস্তায় মোড়ানো বিশেষ কিছু নিয়ে আসছে। সংবাদটি পেয়ে বিজিবি টহলদল দ্রুত ঐ এলাকায় গিয়ে আমবাগানের মধ্যে ওৎ পেতে থাকে এবং লোকগুলোকে আসতে দেখে বিজিবি টহলদল তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে তারা ব্যাগ ফেলে দ্রুত ভুট্টা ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ভারতে অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি টহলদল প্লাস্টিকের বস্তা খুলে ০৪টি অত্যাধুনিক বিদেশী (ভারতীয়) এয়ারগান উদ্ধার করে।