নিরেন দাস,জয়পুুরহাট প্রতিনিধিঃ চিকিৎসা দেওয়ার নামে রাবেয়াকে কৌশলে বেহুশ করে তার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার নিয়ে চম্পট দেন তারা।তান্ত্রিক চিকিৎসার নামে প্রতারণা ও চুরির অভিযোগে জয়পুরহাট সদরে এক ‘কবিরাজ’কে আটক করেছে জয়পুুরহাট র্যাব-৫ এর সদস্যরা। র্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোস্তফা জামান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতর মাধ্যমে জানান, শুক্রবার ভোরে সদর উপজেলার দূর্গাদহ বাজার থেকে নিজেকে ‘কবিরাজ’ দাবি করা ফিরোজ মণ্ডলকে আটক করা হয়।
৫৫ বছরের ফিরোজ সদর উপজেলার ঘাসুরিয়া গ্রামের মৃত মফিজ মণ্ডলের ছেলে। মেজর মোস্তফা জানান, ফিরোজ দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন অঞ্চলের সহজ-সরল মানুষদের ঝাড়ফুঁকের মাধ্যমে কবিরাজী চিকিৎসা দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এসব চিকিৎসায় সুস্থতা তো দূরে থাক, অপচিকিৎসার কারণে রোগ বৃদ্ধি পেয়ে রোগীদের অবস্থা আরও খারাপের দিকে যেতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন আগে মধ্যপালি গ্রামের মতিউর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে ঝাড়ফুঁক দিতে তার বাসায় যান ফিরোজ ও তার দুই সহযোগী। এরপর চিকিৎসা দেওয়ার নামে রাবেয়া বেগমকে কৌশলে বেহুশ করে তার কাছ থেকে স্বর্ণের আংটি ও কানের দুল (পাশা) নিয়ে চম্পট দেন তারা।
জ্ঞান ফিরে রাবেয়া প্রতারণা ও চুরির বিষয়টি বুঝতে পেরে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ দেন।মেজর মোস্তফা আরও জানান, শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাসুদ রানার নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা দূর্গাদহ বাজার থেকে ফিরোজকে গ্রেপ্তারের পর তার বাড়ি থেকে চুরি করা মালামাল উদ্ধার করেন। তবে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। ফিরোজের বিরুদ্ধে জয়পুুরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও র্যাব ক্যাম্পের অধিনায়ক জানান।