খুলনার শিরোমনিস্থ বন্ধকৃত হুগলী বিস্কুট কোম্পানি চালু করতে প্রতিবন্ধকতা, শ্রমিকদেরকে সহযোগিতার আহবান

খান জাহান আলী থানা প্রতিনিধিঃ খুলনার শিরোমণি শিল্পনগরীতে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বন্ধকৃত হুগলি বিস্কুট কোম্পানি চালু করার বিষয় লইয়া মালিকপক্ষ ও সিবিএ নেতাদের সহিত ভুল বোঝাবুঝির কারণে মিলটি চালাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ শ্রমিকেরা। গতকাল মাগরিব বাদ হুগলী বিস্কুট কোম্পানির অভ্যন্তরে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ডেকে মিলটি চালুর জন্য মত বিনিময় সভা করেন। সভায় মোঃ নাদিম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ১ নং আটরা গিলাতলা। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ

মনিরুল ইসলাম, বিশেষ অতিথি ছিলেন কোম্পানির উত্তরবঙ্গের ডিলার মোঃ আরিফ হোসেন। মতবিনিময় সভায় শ্রমিকদের একটা অংশ উপস্থিত হলেও অন্য আর একটি অংশ ছিল অনুপস্থিত। মিল মালিক শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে অভিযোগ করে বলেন যারা শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে তারা কখনো শ্রমিকদের বন্ধু হতে পারেনা, বা তারা শ্রমিকের ভালো চায় না, তারা শুধু শ্রমিকদের ব্যবহারই করে। তিনি আরো বলেন, কারখানা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করছি এবং আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং এর প্রথম সপ্তাহে মিলটি।

চালু হবে এবং মিলটি চালু হলে প্রতি সপ্তাহে বকেয়া পাওনা সহ প্রতি সপ্তাহের টাকা প্রতি সপ্তাহে পরিশোধ করা হবে। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান শ্রমিকদের কথা বলে বিভিন্ন সময় নগদ এবং বিকাশের মাধ্যমে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে যা শ্রমিকেরা পাই নাই। এছাড়াও মিল মালিক আসলে তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি প্রদান করছে। এ ব্যাপারে তিনি খানজাহান আলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করবেন বলেও জানান। প্রধান অতিথি ১নং আটরা গিলাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান

আলহাজ্ব শেখ মনিরুল ইসলাম মিল মালিক কে আশ্বস্ত করে শ্রমিকদের বলেন তোমরা নিয়মিত কাজে যোগদান করো এবং মিলে যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে তাতে তোমরা সহযোগিতা করো এবং মিল মালিক যে কথা বলেছে প্রতি সপ্তাহের টাকাসহ বকেয়া এক সপ্তাহের টাকা মিল মালিক পরিশোধ করিবে এটা যদি মিল মালিক না করেন তোমরা আমাকে অবগত করলে আমি এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। তাছাড়া তোমরা যে কজন শ্রমিক এখানে উপস্থিত আছো অনুপস্থিত বাকি শ্রমিকদের আমার এই বার্তাটা পৌঁছে দিও, যেন তারা মিল মালিকের সাথে সহযোগিতা করে, মিলটি যাতে দ্রুত চালু হয় সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং দুর্নীতিবাজ লোকদের কাছ থেকে দূরে থাকার কথাও তিনি উল্লেখ

করেন।হুগলী বিস্কুট কোম্পানির সিবিএ সভাপতি কাজী মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং বলেন উপরন্ত তাদের কাছে আমি আরও টাকা পাবো। পূর্বে মালিকের কাছ থেকে যে টাকা আমি নিয়েছি সেটা যথাযথভাবে শ্রমিকদের ভেতরে বন্টন করা হয়েছে এবং তার উপযুক্ত তথ্য আমার কাছে আছে। বর্তমান মিল মালিক নাদিম সাহেব আমাকে হুমকি প্রদান করেছে সেজন্য আমি

খানজাহান আলী থানায় নাদিম সাহেবের নামে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বিষয়টি অবগত করেছি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু শ্রমিকদের বক্তব্য, মিলটি যেই চালাক আমরা যদি আমাদের বকেয়াটা সঠিক মত পাই এবং নিয়মিত বেতনের টাকাটা পাই তাহলে হুগলি বিস্কুট কোম্পানিতে কাজ করতে আমাদের কোন আপত্তি নাই। অন্য শ্রমিকেরা বলছে আমরা কোথায় কাজ করব সেটা আমাদের বিষয় তারা আমাদের পাওনা টাকাটা বুঝে দিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top