দিঘলিয়া প্রতিনিধিঃ সারা দেশের ন্যায় দিঘলিয়ায় চলছে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান। গত ১৩ অক্টোবর শুরু হয়েছে দিঘলিয়া উপজেলার নদীগুলোতে মাছ শিকার প্রতিরোধে অভিযান যা আগামী ৩ অক্টোবর শেষ হবে। আর এ অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় দিঘলিয়া উপজেলার ইলিশ প্রজননের ক্ষেত্রগুলো আতাই, ভৈরব ও মজুদখালী নদীতে। পাশাপাশি চলছে স্থানীয় হাট বাজারগুলোতে ইলিশ মাছ ও কারেন্ট জালসহ মাছ শিকার কাজে ব্যবহৃত নানা জাল বাজারজাতকরণ ও বেচাকেনা রোধে মোবাইল কোর্ট। উক্ত অভিযান মৌসুমে দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তরে চলছে নাই নাই জনবল সংকট। দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য অফিসারের শেষ কর্মদিবস ছিল ১৫ অক্টোবর।
অর্থাৎ তিনি পদোন্নতিজনিত কারণে দিঘলিয়ায় নেই। তদস্থলে একজন অফিসারের পদায়ন হলেও তিনি অদ্যবধি যোগদান করেননি। গত ২০ তারিখে যোগদানের কথা শোনা গেলেও তাকে তার নতুন কর্মস্থলে দেখা যায় নি। উপজেলা সহকারী মৎস্য অফিসার ও উপজেলা মৎস্য অফিসারদ্বয়ের পদ দুটিও শূন্য রয়েছে অভিযানের আগ থেকেই। উপজেলা ক্ষেত্র সহকারী কে এম মহসিন আলম কয়েক মাস আগে বদলী হয়ে গেলেও সে পদে নতুন কাউকে পদায়ন করা হয় নি। উক্ত দপ্তরের অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ক পদ দুটিতে জনবল শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। কোস্টাল প্রজেক্টের ৩ টি পদের
অনুকূলে দুইটি পদ শূন্য রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে। দিঘলিয়া উপজেলার মৎস্য দপ্তরের নীতি নির্ধারণী এ পদগুলোসহ সকল পদ শূন্য মিলে অফিসটায় শুধু নাই নাই। যে কারণে সরকারের মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যাপকভাবে ব্যহত হচ্ছে। ব্যাহত হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের কাজ ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে মা ইলিশসহ দেশি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কর্মসূচি।