সালাম মূর্শেদী গ্রেফতার হলেও দিঘলিয়ার লীগের শক্তিশালী নেতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে

IMG_20241023_172648.jpg

Oplus_131072

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে::::::   সাবেক এমপি সালাম মূর্শেদী গ্রেফতার হলেও দিঘলিয়া উপজেলায় বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে জেলে ও ঘরবাড়ি ছাড়া করা ও দিঘলিয়া উপজেলার স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার নিয়োগ বানিজ্যে সাহায্য ও মধ্যস্থতাকারীসহ কথিত এমপি প্রতিনিধিরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী দিঘলিয়ায় আওয়ামী লীগের পাশাপাপাশি নিজেস্ব প্রতিনিধি ও এমপি লীগ গড়ে তুলেছিলেন। বিরোধীদলের ওপর গায়েবি মামলা দিয়ে রাজনৈতিক ময়দান ও জবাবদিহির মাঠ পরিস্কার করা, সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগ বাণিজ্য করে নগদ অর্থ লুফে নিয়েছেন। আর এসব কাজে তার হাতকে যারা সবল করেছে তারা আজ ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যদিও এমপি সালাম মূর্শেদী গ্রেফতার হয়েছেন। দিঘলিয়া উপজেলায় তার রাজনৈতিক

 

কর্মকান্ড, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারতা, উন্নয়নকাজে দুর্ণীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল দপ্তরে নিয়োগ বাণিজ্যে মধ্যস্থতাকারি, দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের এমপি প্রতিনিধি নামে খ্যাত ব্যক্তিরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবী মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো ও ঘরবাড়ি ছাড়া করে উপজেলার সকল দপ্তরে জবাবদিহিতার অনুপস্থিতি ঘটানো হয়েছে। উন্নয়ন কাজে অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ণীতির রোল মডেল স্থাপন করার পরামর্শক ও শক্তির যোগানদারেরা রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে এমনটাই জানিয়েছেন দিঘলিয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাঠের ত্যাগী নেতা-কর্মীরা। এদিকে দিঘলিয়ায় সাংবাদিকমহলে বিভেদ সৃষ্টি করে আওয়ামী লীগের প্যাডে দিঘলিয়া প্রেসক্লাবের কমিটির অনুমোদন দিয়ে দিঘলিয়া প্রেসক্লাবকে আওয়ামী প্রেসক্লাবে রুপান্তরিত করে এমপি সালাম মূর্শেদীর হাতকে শক্তিশালী করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের বিপক্ষে

 

মত প্রকাশের পথকে রুদ্ধ করা হয়েছিল। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্যদের বাদ রেখে অসাংবাদিকদের নিয়ে প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের আাকার ইঙ্গিতে ও পরামর্শে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন আলোচনা সভা ও সরকারি বিভিন্ন কর্মকান্ডে বঞ্চিত রাখা হতো। আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করার এক কালো অধ্যায়ের সূচনা করা হয়েছিল দিঘলিয়া প্রেসক্লাবে। গত ৫ আগষ্ট দেশ থেকে সৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের বিদায় হলেও উপজেলা পর্যায়ে তার ঝোক এখনও কাটেনি। যারা দিঘলিয়া প্রেসক্লাবকে আওয়ামী প্রেসক্লাবে রুপান্তরিত করে দিঘলিয়ায় আওয়ামী লীগের বিরোদী দলের উপর দমন-পীড়নের হাতকে শক্তিশালী করেছিল সেই সকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে

 

ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী সাংবাদিকসহ বিপ্লবী রাজনৈতিক মহলের। শুধু এখানেই শেষ নয় নানা সুযোগ সুবিধা গ্রহণ ও বিভিন্ন দপ্তরে ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঁদাবাজী করে এমপি লীগের হাতকে শক্তিশালী করারও অভিযোগ রয়েছে দিঘলিয়ায় কর্মরত অনেক কথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। তাই কথিত হলুূদ সাংবাদিকতার যবনিকাপাত ঘটিয়ে বিপ্লবী রাজনৈতিক ধারার অনুকূল পরিবেশ প্রেসক্লাব গঠনে এগিয়ে আসা এবং স্থানীয় প্রশাসনকে সেই ধারায় ফিরে আসার দাবী সাংবাদিকদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top