দিঘলিয়ায় মিনি স্টডিয়ামের নির্মাণ কাজে পাথর ও বালুর পরিবর্তে ব্যবহার হচ্ছে ইটের খোয়া ও ধূলা বালু

InShot_20240716_093655811.jpg

সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে :::::  মেলায় ছ্যলায় দে আমরা লুটে পুটে খাই এমনি অবস্থা দিঘলিয়ার মিনি স্টেডিয়ামের নির্মাণ কাজে। দিঘলিয়ায় মিনি স্টডিয়ামের মির্মাণ কাজে পাথরের পরিবর্তে ইটের খোয়া ও ধূলো বালু দিয়ে চলছে ঢালাই কাজ। যার ভিডিও ফুটেজ ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে হাজিগ্রাম এলাকায় নির্মিত হচ্ছে উক্ত মিনি স্টডিয়াম এবং এ স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ চলতি বছরে শুরু হয়। এ প্রকল্পে কত টাকা বরাদ্ধ ও কারা এর দেখভালে তা সাধারণ মানুষের কাছে স্পষ্ট নয়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মিনি স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছে ঠিকাদার ও সাব ঠিকাদার। এ স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজে যেখানে পাথরের খোয়া, সিলেকশন বালু,ও কুষ্টিয়ার বালু ব্যাবহার করার কথা রয়েছে সেখানে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও সাব ঠিকাদার কয়েকটি পিলারসহ সকল ঢালাই কাজে ব্যাবহার করছে ইটের খোয়া, ও ধূলো বালু। আরো জানা গেছে, গত ১৪ ই জুলাই সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে উক্ত স্টডিয়ামের ৩য় তলায় ঢালাই কাজ চলছে কিন্তু পাথরের সাথে ইটের খোয়া ও নিম্ন মানের সাদা বালু মিশিয়ে ব্যবহার করছে।

 

এক সূত্র জানা গেছে, এ মিনি স্টেডিয়ামটির ঠিকাদার জনৈক সাবেক ফুটবলার মোঃ আসলাম। তিনি কখনও কাজের সাইডে আসেন না। ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পের দেখভাল কে করছে তাও অজ্ঞাত। এ প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণ কাজ পরিচালনা করছেন স্থানীয় জনৈক ইউপি সদস্য। আর এ প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে পিলারসহ সকল ঢালাই কাজে অনিয়ম ও দুর্ণীতির অভিযোগ রয়েছে সর্বমহলে। এখন সাধারণ মানুষের মুখে একটি কথা উন্নয়নের নামে প্রভাবশালী মহলের অধীনে থাকা এই ধরনের দুর্নীতি কবে বন্ধ হবে? বেশ কয়েকবার সাপ্লাইয়ার ও ঠিকাদারদের সাথে সরাসরি কথা বলার চেষ্টা করা হলেও মেলেনি তাদের দেখা । একটি ভিডিও গোপনে ধারণ করা হয় তাতে দেখা যায় চলমান ঢালাইয়ের কাজে ব্যাবহার হচ্ছে ইটের খোয়া ও নিম্ন মানের সাদা বালু। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ জানান, উক্ত কাজের বিষয় তার কাছে কোন তথ্য নেই। বিষয়টি জানার চেষ্টা করেছি। কাগজপত্র চেয়েছি পায়নি। এ বিষয়ে জানার জন্য কয়েক বার সরেজমিনে গিয়েও দেখা হয়নি ঠিকাদারের সাথে। এদিকে একটি সূত্র এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন এ কাজের পিছনে নাকি প্রভাবশালী জনৈক নেতা আছেন। তাই এ ব্যাপারে কেউ কথা বলতে সাহস করেনা। এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা কে এই প্রভাবশালী নেতা? আর এ মিনি স্টেডিয়ামের নামে পুকুর চুরির শেষ কোথায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top