খুলনা পথের বাজার সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে  জরিমানা এবং বন্ধ ঘোষণা

IMG_20240702_214225.jpg

 সৈয়দ জাহিদুজ্জামান দিঘলিয়া খুলনা থেকে:::::::;  খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের পথের বাজার সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও এ অবৈধ সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ইউনিয়নের পথের বাজারে অবস্থিত এ ক্লিনিকটির নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্ণীতির বিরুদ্ধে এলাকাবাসী, সংশ্লিষ্ট একজন চিকিৎসক সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ক্লিনিকের মালিকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ ও প্রকাশিত হয়। অবৈধভাবে ক্লিনিক পরিচালনা করায় গঠিত তদন্ত কমিটি সত্যতা পেয়ে রিপোর্ট দাখিলের পর খুলনা সিভিল সার্জন পত্র মারফত সতর্ক করলেও

 

কাজ হয়নি। ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির নিয়ম নীতি না মেনে অবৈধ কার্যক্রম করেই যাচ্ছে। অবশেষে সোমবার  ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দেবাংশু বিশ্বাস ক্লিনিকের বিভিন্ন অনিয়ম ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনুমতি না থাকায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দিয়েছেন। জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার পথের বাজারে  অবৈধভাবে গড়ে উঠেছিল সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি। এ প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে একটি স্বার্থন্বেষী মহল পরিচালনা করে আসছিলেন। ক্লিনিকটিতে নিজস্ব কোন চিকিৎসক না থাকলেও একাধিক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে বোর্ড ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে এ প্রতিষ্ঠানটি ডাক্তারের স্বাক্ষর জাল ও সিল ব্যবহার করে রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদান করেছেন। ক্লিনিকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিজেই চিকিৎসক সেজে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ সবই করে থাকেন এস কে নূর মোহাম্মদ। এতসব অভিযোগের পরও পথের বাজার সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি কিছু নামধারী ব্যক্তির  ছত্রছায়ায়

 

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে স্বার্থান্বেষী একটি মহল অবাধে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন।  অপর দিকে ২৮ এপ্রিল ডাক্তার ফারজানা খানম খুলনা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। চিকিৎসকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ই মে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তদন্ত প্রতিবেদন খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তরে দাখিল করেন। তদন্তে সত্যতা পেলেও শুধুমাত্র ক্লিনিকের মালিককে”সতর্ক” করা হয়েছিল।   উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) দেবাংশু বিশ্বাস বলেন,  সার্জিকাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন অনিয়মের সত্যতা পেয়ে এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির অনুমতি না থাকায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top