মোকাররম হোসেন, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর :::: সাঁওতালসহ সকল জনগোষ্ঠির ধর্ম ও জাতিগত বৈচিত্রতা রক্ষা করতে খ্রিস্টধর্মের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ সারিধরম গাঁওতা । শুক্রবার সকাল ১০টায় ফুলবাড়ী প্রেসক্লাব সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সুবাস মুর্মু। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে প্রকাশিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির গেজেটে সাঁওতালসহ মোট ৫০ টি জাতিসত্তা অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। গেজেটে অর্ন্তভুক্ত প্রত্যেকটি জাতিসত্তা নিজস্ব ভাষা, ধর্ম ও সংস্কৃতি তথা জাতিগত বৈচিত্রতা বিদ্যমান। তিনি আরও বলেন, সাঁওতাল জাতির নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, ধর্ম ও বর্ণ রয়েছে; আমাদের ধর্মের নাম সারিধরম। সাঁওতাল জাতি খুবই সহজ সরল, নিরীহ, সৎ এবং দেশ ও প্রকৃতিপ্রেমী। আমাদের এ সরলতাকে পুঁজি করে খ্রিস্টধর্ম ব্যবসায়ী, ধর্ম প্রচারক বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে আমাদের মাঝে সু-সম্পর্ক তৈরি করে আমাদের জমা-জমিতে কৌশলে বিভিন্ন খ্রিষ্টধর্মের উপসনালয় তথা গীর্জাঘর বানায় এবং
সেখানে খ্রিষ্টধর্ম পালনে বাধ্য করে। আমরা সাঁওতাল সমাজ খ্রিস্টধর্মের এ হীন কূটকৌশলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মহান ‘৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। আমরা মনে করি বর্তমান সরকার সকল ধর্মের মানুষদের সমান দৃষ্টিতে দেখছেন। দেশ স্বাধীনের ৫৪ বছরে পরেও আমাদের আজ নিজ ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, বর্ণমালা রক্ষা করার আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে, যা বড়ই দুঃখের বিষয়। তিনি বলেন, সাঁওতালদের নিজ বর্ণমালা থাকা সত্ত্বেও খ্রিস্টান ধর্ম ব্যবসায়ীরা আমাদের উপরে রোমান
বর্ণমালা চাপিয়ে দিতে চায়। আমাদের নিজ ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে তারা জাতির সঙ্গে আরো বড় রকম ষড়যন্ত্র করবে। অসৎ উদ্দেশ্য সফল করার লক্ষ্য নিয়ে যারা বাংলাদেশকে গ্রাস করার চেষ্টায় দিবা স্বপ্ন দেখছে-আমরা বাংলাদেশ সারিধরম গাঁওতা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি চুন্নু টুডু, সাধারণ সম্পাদক নরেশ হেম্ব্রম, কার্যকরি সদস্য নির্মল মার্ডি, রবিন মুর্মু, মনিররাজ হেম্ব্রম, রাজেন মার্ডী ও সুনিল হাসদা প্রমুখ।