চট্টগ্রামে জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীতে চাকরি দেয়ার নাম করে দুই কোটি টাকা হাতিয়ে প্রভাবশালী চক্র

 জয়নাল আবেদীন, চট্টগ্রাম :::: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার শিক্ষিত বেকারদের এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা) চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দুই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মমতাজ বেগম নামের (৩৫) এক নারী।এসব বেকার যুবকদের টাকা হাতিয়ে নেয়ার পিছনে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র কাজ করছে বলে জানা গেছে। প্রতারণায় অভিযুক্ত ওই মহিলা সীতাকুণ্ড পৌরসভার প্রেমতলা এলাকায় বসবাস করেন বলে জানা গেছে। প্রতারণার কৌশল হিসেবে তিনি নিজেকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন।এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় যুবকদের বেকারত্বের সুযোগ নিয়ে তাদের চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে বিপত্তিতে পড়েন মমতাজ বেগম।কিন্তু তিনি তাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।এক পর্যায়ে প্রতারক চক্রের মূল কারিগর ওই মহিলা সটকে পড়েন।বেকার যুবকদের থেকে হাতিয়ে নেয়া টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি এই মুহূর্তে পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী যুবক খোকন জানান, আমাদের সীতাকুণ্ড

 

উপজেলার প্রায় ১৫/২০ জন যুবক থেকে গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি দেয়ার নাম করে দেড় কোটি টাকার বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মমতাজ বেগম ওয়ারিসিকা নামের মহিলাটি।চাকরি দিতে ব্যর্থ হওয়ার ফলে টাকা ফেরত চাইলে মহিলা নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন।বর্তমানে তিনি মোবাইল নাম্বার বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।এই মহিলার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা জড়িত আছেন।এছাড়া মমতাজ বেগমের ছোট বোনের জামাই নাহিদ চৌধুরীও তিন লাখ টাকা দিয়েছেন সোর্স হিসেবে গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি পাওয়ার আশায়‌।মমতাজ বেগমের স্বামীও জড়িত আছেন বলে আমি আশঙ্কা করছি।কেননা তাদের পরিবারের মধ্যে আসা-যাওয়া রয়েছে।যদিও বিষয়টি অস্বীকার করছেন তার স্বামী মজিবুর রহমান।তিনি

 

স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, সরকারী গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি করার প্রত্যাশায় আমি মীর হোসেনের মাধ্যমে মমতাজ বেগমকে দেড় লাখ টাকা দেই।কিন্তু চাকরি দিতে না পারায় টাকা দিতে বাধ্য হন।তবে সীতাকুণ্ড উপজেলার অনেক যুবক ৯ থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন।কিন্তু সেসব যুবক টাকা আদায় করতে পারেননি।মূলত গোয়েন্দা বাহিনীর সোর্স হিসেবে চাকরি পেতে আমি তাদের চক্রান্তের শিকার হয়েছি। এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মমতাজ বেগমকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।পরে মমতাজ বেগমের স্বামী মজিবুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মমতাজ বেগমের সঙ্গে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top