রংপুর সদর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানব্বন্ধন

শরিফা বেগম শিউলী স্টাফ রিপোর্টারঃ রংপুর সদর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রহমত আলীর বিরুদ্ধে স্বার্থনেশী মহলের মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ সম্মেলন করার অভিযোগে, সাধারণ খামারিরা প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকাল ১১ টায় রংপুর সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় রংপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশত সাধারণ খামারি উপস্থিত হয়ে ডাঃ মোঃ রহমত আলীর পক্ষে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদ জানান।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী খামারিদের দাবি-ডাঃ মোঃ রহমত আলী, রংপুর সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে গতবছরের ১২ মার্চ যোগদান করেন। তিনি যোগদানের পর থেকে সততার সঙ্গে দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করে আসছেন। খামারিদের বিভিন্নভাবে আর্থিক প্রণোদনা এবং সার্বিক সহযোগিতা করে আসছেন। তার একান্ত প্রচেষ্টায় উপজেলা সদর জুড়ে ছোটবড় দুগ্ধ খামারি, পোলট্রি খামারি, এলডিডিপি প্রকল্পের আওতাধীন পিজি গ্রুপের সাধারণ সদস্যদের বিভিন্ন ধরনের পশু পালন এবং হাতেকলমে স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ প্রদাণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এলডিডিপির আওতাধীন পিজি গ্রুপের তত্ত্বাবধানে রংপুর ডেইরী এসোসিয়েশনে সাধারণ খামারিরা অন্তর্ভুক্ত থাকলেও তাদের বরাদ্দ বিভিন্ন সময়ে লুটপাট করা হতো। কিন্তু ডাঃ মোঃ রহমত আলী, রংপুর সদর উপজেলা প্রানীসম্পদ কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার পর থেকে তিনি সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে সাধারণ খামারিদের সঙ্গে কথা বলে খামার পরিদর্শন করে তাদের সরকারি সহযোগিতা করতেন। এতে উপকৃত হতো সাধারণ খামারি সহ প্রান্তিক খামারিরা।সাধারণ খামারিদের মাথা ভাঙিয়ে এলডিডিপি- প্রকল্পের আওতাধীন পিজি গ্রুপ রংপুর ডেইরী ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের  (আরডিএফএ) নেতারা

বরাদ্দের টাকা অনিয়ম করে আত্মসাৎ করতেন। খামারি মনছুর রহমান বলেন, ডাঃ মোঃ রহমত আলী, দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে কতিপয় কিছু ব্যক্তির স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটে। এতে করে ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকেন স্বার্থন্বেষী মহল। তারা একটি পক্ষকে উস্কে দিয়ে বুধবার (১৫-মে) ডাঃ মোঃ রহমত আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সদর উপজেলাধীন সুমি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করেন। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্য,বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। খামারি উৎপল কুমার বলেন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রশিক্ষণ প্রকল্পের টাকা সহ তাদের খাওয়া এবং সম্মানি ভাতা না দেওয়ার অভিযোগ সত্য নয়,বরং প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ রহমত আলী, সকল খামারিদের সমানভাবে দেখতেন। আব্দুল মালেক বলেন, প্রকল্পের অর্থ বা খামারিদের জন্য

আনুষাঙ্গিক কেনাকাটায় যাঁরা নয় ছয় করতেন, তারা সেটা করতে না পারায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। রংপুর প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রহমত আলী বলেন, কারো কারো স্বার্থে আঘাত লাগায় আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন, যাহার কোনো ভিত্তি নেই। অনেকে ব্যক্তিগত সুবিধা না পেয়ে এধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।##

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top