সৈয়দ জাহিদুজ্জামান :::::: খুলনা মহানগরীর কেসিসির ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সুলতান মাহমুদ পিন্টুর বাসভবনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলা ও গুলি বর্ষণ, বাসভবনসহ মালামাল ভাংচুর ও কুপিয়ে ৩ জনকে আহত করার প্রতিবাদে সুলতান মাহমুদ পিন্টুর পক্ষ থেকে সংবাদ সন্মেলন করা হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় আটকৃতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি। গত সোমবার (২২ এপ্রিল) উত্তর কাশিপুর রাজধানীর মোড়স্থ পিন্টুর নিজস্ব কার্যালয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তিনি। এ দিকে পিন্টুর দায়ের করা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী শেখ মিজানুর রহমানের পুত্র শেখ হাসিব (২৭) ও সাইফ (১৯), জাহাঙ্গীরের পুত্র ইব্রাহিম (৩০), হালিমের পুত্র রাকিব (২৫) ও হাফিজের পুত্র মুশফিকুর রহমান পিয়াল (২১) কে নড়াইল জেলার মির্জাপুর গ্রাম থেকে আটক করেছে পুলিশ।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি রামদা উদ্ধার হয়েছে বলে ওসি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুলতান মাহমুদ পিন্টু। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৮ এপ্রিল জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে শেখ ফরহাদ হোসেনের নের্তৃত্বে ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী পিন্টুর চাচা শেখ মিজানুর রহমান, আব্দুর রহিম বাবু ও শেখ জিসানকে কুপিয়ে আহত করে। এ সময় পিন্টুর কক্ষ লক্ষ করে এক রাউন্ড শর্ট গানের গুলি ছোড়া হয় বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান। সংবাদ সম্মেলনে তিনটি তেল ডিপোকে রক্ষা করার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ ফরহাদ হোসেন তেল ডিপো গুলোতে অস্ত্রের মহড়া দেওয়া, কর্মকর্তাদের মারধোর, হুমকি-ধামকি দিয়ে জোর পূর্বক অনৈতিক সুবিধা
আদায় করেন বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন। তিনটি তেল ডিপো থেকে জোর পূর্বক অবৈধ ও অনৈতিক ভাবে সুবিধা আদায় ও ডিপোগুলোতে সংরক্ষিত জ্বলানি সম্পদ লুটপাট ও ডিপোগুলো ধ্বংসের ব্যাপারে একাধিকবার একাধিক সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেয়া আছে। এ ঘটনায় খুলনা বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও বিপিসিতে খোঁজ নিয়ে সত্যতা যাচাই করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।