দিনাজপুর গোড়-এ শহীদ বড় ময়দানে লাখো মুসল্লির পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়

মামুনুর রশিদ মামুনঃ দিনাজপুর ::::  শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ উৎসবে দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় ঈদগা মাঠ গোড় এ শহীদ বড় ময়দানে নামাজ পড়লেন লাখ লাখ মুসল্লি। এখানে আজ বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শুরু হয় ঈদ জামাত। ঐতিহাসিক এই ঈদ এর জামাতে ইমামতি করেন মাওলানা শামসুল হক কাসেমী। মোনাজাত করা হয় বাংলাদেশসহ বিশ্বের সমস্ত মুসলমানের সমৃদ্ধি কামনায়। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের স্বাধীনতার জন্য করা হয় বিশেষ দোয়া। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় এ ঈদগা মাঠে নামাজ পড়তে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই জামাতে সেখানে পৌঁছে যান আগের রাতেই। সবার আগে মাঠে পৌঁছে সামনের কাতারগুলোতে অবস্থান নেন তারা। দক্ষিণ এশিয়ার সবথেকে বড় ঈদগাহে নামাজ পড়তে পেরে আনন্দের ঢেউ উথলে পড়েছে মুসল্লিদের মধ্যে। ঈদের জামাত উপলক্ষ্যে দিনাজপুরের এ ময়দানজুড়ে ছিলো কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রবেশপথে ছিলো ১৭টি মেটাল ডিটেক্টর, গোটা মাঠ ছিলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। চার স্তরের নিরাপত্তা

 

ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয় ঈদের জামাত। বাংলাদেশের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপিসহ কয়েক লাখ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মুসল্লী নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে আয়োজকরা জানিয়েছেন, আগামী বছর থেকে মহিলাদের নামাজের ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হবে। জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি বলেছেন, বৃহত্তর এই ঈদ জামাতে ছয় লক্ষাধিক মুসল্লির অংশগ্রহণ করেছে। সম্পূর্ণ ঈদগাহ মাঠটি ছিল সিসি টিভি ক্যামেরায় বেষ্টিত। চার স্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল এখানে। ঈদগাহ মাঠের চারদিকে ১৭টি গেট দিয়ে মুসল্লিরা প্রবেশ করেন বলেও জানান তিনি। উল্লেখ্য, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের

 

নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দু’টি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top