এস.এম.শামীম দিঘলিয়া খুলনাঃ দিঘলিয়ার বারাকপুর ইউনিয়ন এর লাখোহাটি ১ নং ওয়ার্ড এলাকার বাসিন্দা মৃতঃ বরকত উল্লাহ শেখর পুএ রুহুল শেখ ও তার স্ত্রী, ছেলে কে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহতের ঘটনা ঘটেছে। সুএে জানা যায় রুহুল শেখ এর বড় ভাই হাফিজ শেখের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমিজমা সংক্রান্ত বিরত চলে আসছিল । একপর্যায়ে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বড় ভাই হাফিজ শেখ এর সাথে রুহুল শেখ এর বাঘ বিতান্ডের সৃষ্টি হলে হাফিজ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ছোট্ট ভাই রুহুল শেখ কে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে রুহুল শেখ এর স্ত্রী ও ছেলে ঠেকানোর চেষ্টা করে কিন্তু হাফিজ ও তার সাথে থাকা ৫/৬ জন মিলে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে এসময় হাফিজ শেখ তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে রুহুল শেখ ও স্ত্রী সালমা আক্তার কে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। এসময় রুহুল শেখ এর স্ত্রী গুরুত্বর আহত হন। এবং স্ত্রী সালমা আক্তার কে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে তার অবস্থা গুরুতর দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাকে খুলনা মেডিকেলে প্রেরন করে সেখানে ও স্ত্রী সালমা আক্তার এর চিকিৎসা
ত্রুটি দেখা দিলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা নিউ ফেয়ার হেলথ ডায়গনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করা হয় এবং স্ত্রী সালমা আক্তার এর শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম হওয়ায় তার শরীরে ৭৫ টি সেলাই লাগে। ও রুহুল শেখ আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা নেন এসময় রুহুল শেখ এর মাথায় ১২ টি সেলাই দিতে হয়। এবং রুহুল শেখ এর পুএ রাকিব শেখ এর শরীরে ও মারাত্মক জখমের সৃষ্টি হয় তার পেটে ও পিঠে বেস কিছু সেলাই লাগে , এসময় রুহুল শেখ চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় হাফিজ শেখ একটি মামলা দায়ের করে যেখানে রুহুল শেখ সহ স্ত্রী সন্তানকে ও আসামি করা হয় মামলা নং-সিআর ৪৩/১৯। একপর্যায়ে স্ত্রী ও ছেলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে রুহুল শেখ বাদি হয়ে হাফিজ শেখ সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-৬৩/১৯। এমন ঘটনা পুনরায় আবারো সৃষ্টি হলে রুহুল শেখ ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার আহত হয় এবং রুহুল শেখ বাদি হয়ে দিঘলিয়া থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করে যার নং- ১২২/২২।
কিন্তু পাল্টাপাল্টি হামলা হলেও হাফিজ শেখ এখনো পর্যন্ত রুহুল শেখ ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে বলে রুহুল শেখ এর পরিবার প্রতিবেদক দের জানান এবং রুহুল শেখ আরো বলেন যে আমার পরিবারের কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা আমি মারা গেলে একমাত্র দায়ী থাকবে হাফিজ শেখ। আরো বলেন আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই সকল ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের নিকট আসু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।