ঝালকাঠিতে রাজাপুর থানা মুক্ত দিবস পালিত

কঞ্জন কান্তি চক্রবর্তী ঝালকাঠিঃ ঝালকাঠির রাজাপুর থানা ১৯৭১ সালের ২৩ নভেম্বর হানাদার মুক্ত হয়। ওই দিনের যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও হোসেন আলী নামের স্থানীয় দুই মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়াও সম্মুখযুদ্ধে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে বিশজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধাদের অসিম সাহসিকতার ফলে এ অঞ্চলের মধ্যে সর্বপ্রথম শত্রুমুক্ত হয়েছিল রাজাপুর। প্রতি বছর এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে রাজাপুর প্রেসক্লব। রাজাপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে রাজাপুর প্রেসক্লাব এবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় (২৩ নভেম্বর ) বৃহস্পতিবার দুপুরে ১.০০টায় রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে প্রাঙ্গণ”গল্পে গল্পে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধ ” শীর্ষক শিরোনামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
রাজাপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি

হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শাহ আলম নান্নু তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে রাজাপুর পাক হানাদার মুক্ত হওয়ার বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজাপুর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক  ফারুক সিদ্দিকী , রাজাপুর প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি মোঃ এনামুল হোসেন খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোপাল কর্মকার, কোষাধক্ষ্য মতিউর রহমান মামুন, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান রানা সহ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের সাবেক জেলা প্রতিনিধি মোঃ কাওসার হোসেন, রাজাপুর প্রেসক্লাবের সকল সাংবাদিকবৃন্দ্র, বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারিগন।

উল্লেক্ষ্য ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমন চালায়, শুরু হয় গুলি-পাল্টা গুলি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাতভর যুদ্ধের পরে হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ২৩ নভেম্বর সকালের দিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এতে বরিশাল বিভাগের ৯নং সেক্টরের মধ্যে ঝালকাঠির রাজাপুর থানা সর্বপ্রথম পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়। ৯নং সেক্টরের মধ্যে সর্ব প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয় রাজাপুরে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top