রিয়াজ উদ্দীনঃ বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) লক্ষ্মীপুর জেলা সার্কেল এখন ঘুষ বাণিজ্যের আতঁরঘর। যেখানে দালাল আর ঘুষ ছাড়া কোন কাজ হওয়াটাই রীতিমতো ভাগ্যের ব্যাপার। একদিকে দালালদের দৌরাত্ম্য অন্যদিকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সীমাহীন ঘুষ বানিজ্যে দিশেহারা হয়ে পড়েছে লক্ষীপুর বিআরটিএ অফিসে আসা সেবাপ্রার্থীরা। এ অফিস নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ সাহেবের জন্ম স্থান সেখানেই অস্বচ্ছতা,অনিয়ম আর ঘুষ বানিজ্য,দালাল ছাড়া মানুষ বিআরটিএ তে এসে কাঙ্খিত সেবা না পাওয়ার কারণ কি? সেখানেই সারা দেশের বিআরটিএ সেবার মান নিয়ে শঙ্কিত তারা। তাই লক্ষীপুরের মানুষ বিআরটিএ অফিসে কাঙ্খিত সেবা না পেয়ে হতাশ এবং চেয়ারম্যান’কে নিয়ে বাজে মন্তব্য সহ সমালোচনা
করে দূর্ভাগ্যবান মনে করছে। সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে দেখা যায়, স্বয়ং প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেন মন্টু তার অনিয়ম আর ঘুষ বানিজ্যে সহযোগিতা করছে স্হানীয় এক দালাল খোরশেদ আলম। তাকে তিনি তার একান্ত সহকারী (পিএস) হিসেবে রেখে অবলীলায় অনিয়ম আর ঘুষ বানিজ্য দেদারসে চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এই খোরশেদ আলম এডি’র যোগসাজশে লক্ষীপুর বিআরটিএ অফিসের পাশে পোস্ট অফিসে বসে প্রকাশ্যে বিআরটিএ’তে সেবা নিতে আসা গ্রাহকদের সাথে সরকারি ফি এর চেয়ে দুই তিন গুন বেশি টাকা কন্ট্রাক করে মাসের পর মাস বিরতিহীন ভাবে অনিয়ম আর ঘুষ বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে খোরশেদ এবং সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেন মন্টুর সিন্ডিকেটটি। ছদ্মবেশে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কয়েকজন সংবাদকর্মী গেলে লক্ষীপুর বিআরটিএ অফিসে কর্মরত (সরকারি ভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত) অফিস সহায়ক ইকরাম হোসাইন এর সাথে।
অফিস সহায়ক ইকরাম হোসাইন বলেন, আমাকে দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে একদাম ১১হাজার করে দুইটা ২২ হাজার টাকা লাগবে। তিনি জানান আমি তো কম নিচ্ছি, অন্যদের দিয়ে কাজ করালে ১২-১৩ এমনকি ১৫ হাজারও লাগতে পারে, আর টাকা লেনদেনের বিষয়ে জানতে চাইলে ইকরাম হোসাইন বলেন, প্রথমে প্রতি লাইসেন্সে ২ হাজার দ্বিতীয় বারে ৪হাজার এবং পরীক্ষার দিন ৫ হাজার টাকা দিবেন। লিখিত পরীক্ষার ব্যপারে ইকরাম হোসাইন বলেন, এই বিষয়ে চিন্তা করতে হবে না, আপনাদের আমি পরীক্ষার প্রশ্নের পিডিএফ ফাইল পরীক্ষার আগে দিয়ে দেবো আপনারা শুধু লিখিত পরীক্ষাটা দিবেন, বাকি সব আমি দেখবো। পরীক্ষার হলে ম্যাজিস্ট্রেষ্ট ম্যানেজ করা অফিসের সকল টেবিল ম্যানেজ করার দায়িত্বও অফিস সহায়ক ইকরাম হোসাইন তিনি তার ঘাড়ে নেই। সাংবাদিকদের প্রশ্নে অফিস সহায়ক ইকরাম হোসাইন বলেন, এই বারতি টাকা আমি একা খাইনা অফিসের সকল
টেবিলে দিয়ে কাজ করান তিনি । তিনি আরো বলেন, আমি ছোট কর্মচারী এ বিষয়ে মোটরযান পরিদর্শক ও এডি স্যারের সাথে কথা বলেন। আমি হুকুমের গোলাম মাত্র। উনাদের কথায় কাজ করে থাকি। সকল ভিডিও ফুটেজ দেখা স্বত্তেও এ বিষয়ে লক্ষীপুর বিআরটিএ অফিসের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন মন্টুর সাথে কথা বললে তিনি মুঠোফোনে এতথ্যগুলো ভূয়া বলে উড়িয়ে দেন। অফিস সহায়ক ইকরাম হোসাইন এর সাথে সাংবাদিক টিমের কথোপকথনের সকল ভিডিও চিত্র ও নিউজের সাক্ষাৎকারের সকল রেকড সংরক্ষিত আছে। আরো অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে পরবর্তী সংখ্যায় বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।