আমতলীতে অবরোধে বাস পোড়ানোর ঘটনায় মামলা গ্রেপ্তার -৯

মাইনুল ইসলাম রাজু,আমতলী (বরগুনাঃ বিএনপি জামাতের দ্বিতীয় দফা অবরোধ চলাকালে বরগুনার আমতলীতে বাস পোড়ানোর ঘটনায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অনেককে অজ্ঞাত আসামী করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুড়ে যাওয়া বাসের চালক আবুল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে ৯ জনকে। আজ শুক্রবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি জামাতের দ্বিতীয় দফা অবরোধ চলাকালে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া বাজারের দক্ষিণ পাশে মধ্য তারিকাটা নামক এলাকায় আমতলী- তালতলী সড়কে দুর্বৃত্তরা সাকুরা পরিবহন (ঢাকা মেট্টো-ব- ১১-৮৫৭১) নামে ঢাকাগামী একটি বাস ভাংচুর করে তাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে বাসটি সম্পূর্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া বাসটি ওইদিন রাত ৯টার

সময় তালতলী উপজেলা থেকে ৪জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। বাসটি রাত সাড়ে ৯টার দিকে পথিমধ্যে ঘটনাস্থলে আসা মাত্র দুর্বৃত্তরা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে বাসটির গতিরোধ করে প্রথমে ভাংচুর করে পরে তারা বাসের ভিতর পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই সময় বাসে থাকা যাত্রী, হেলপার, সুপার ভাইজার ও চালক বাস থেকে নেমে জীবনে রক্ষা পায়। সংবাদ পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থাণীয়দের সহায়তায় বাসের আগুন নিয়ন্ত্রনে আনলেও ততক্ষনে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনায় বাসের চালক মোঃ বাবুল হোসেন বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করা হলেও আরো অনেককে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। মামলার পর-পরই পুলিশ

বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হল বশির হাওলাদার, মাসুম হাওলাদার, কাওছার হাওলাদার, লোকমান হাওলাদার, আল-আামিন প্যাদা, খবির হাওলাদার, বাবুল হাওলাদার মাসুম তালুকদার ও আবুল হাওলাদার। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার ওসি তদন্ত মোঃ আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ৯ জনের মধ্যে বশির, খবির ও আল-আমিন প্যাদাকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বাস পোড়ানোর মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৯ জনকে আজ শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top