সেলিম মাহবুব, সিলেটঃ সুনামগঞ্জে জামালগঞ্জের ভীমখালী ইউনিয়নের উগলী গ্রামে সালিশ বৈঠকে জুতা পেটা করার অপমান সইতে না পেরে ফয়সলের আত্মহত্যা ও স মাতাব্বরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে নিহত ফয়সল মিয়ার বসতবাড়ির সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৬ আগষ্ট তিন সন্তানের জননী দিলারা বেগম (৪০) বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ফয়সলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। এ ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় মাতাবররা গত ১৮ আগষ্ট সালিশের আয়োজন করেন।ফয়সল মিয়াকে নগদ বিশ হাজার টাকা জরিমানাসহ দিলারা বেগমকে দিয়ে ফয়সল মিয়াকে জুতা পেটা করানো হয়। ফয়সল মিয়া অপমান সইতে না পেরে ১৭ সেপ্টেম্বর আত্মহত্যা করে। মাতাব্বরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান তারা। নিহতের পিতা সাবেক মেম্বার আব্দুল কদ্দুস বলেন, ঘোষখোর মাতব্বর তৈয়ব আলী, ইউপি সদস্য সুহেল মিয়া, নাছির মিয়া, ওয়াহাব মিয়া, শাহ আলম, আলা উদ্দিন,
মইন উদ্দিন, শিপন মিয়া, দিলারা বেগম, আপ্তাব উদ্দিন, বাবুল মিয়া, আবুল মিয়া, আশরাফুল মিয়া গংরা সালিশ বৈঠক করে আমার ছেলেকে জুতা পেটা সহ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এবং নারীকে দিয়ে জনসম্মুখে জুতা পেটা করানো হয়। এই অপমান সইতে না পেরে আমার ছেলে ফয়সল মিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেন তিনি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসি চাই। এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, আনোয়ার মিয়া, আব্দুল গফুর, ফয়জুর রহমান, আফ্তাই মিয়া, তাজ উদ্দিন, ছবুর আলী, আব্দুননূর, আব্দুল কদ্দুছ, ইসমাইল, রজব আলী, সামছু মিয়া, জায়ফর, জাহাঙ্গির মিয়া, মহিবুর রহমান, ফরিদ আলী, আরজ আলী, আবুল হোসেন, বাবুল মিয়া, আনোয়ারা, ছাবিরুন, পানামা, হায়াতুননেছা, মোহতেরা বেগম প্রমুখ।