সৈয়দ জাহিদুজ্জামানঃ খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার পাবলা গ্রামের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি ফোরকান গ্রেফতার হয়েছে। পুলিশ তাকে পাবলা কেশবলাল রোডের কবির বটতলা নামক স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দৌলতপুর থানাধীন পাবলা কেশবলাল রোডের শাহজাহান শেখ(গুরুর) বাড়ীর ভাড়াটিয়া গত বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাতে ১৫ জনের অধিক সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তের দল দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়। দুর্বৃত্ত ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের ভয়ে ও অব্যাহত হুমকীর কারণে গৃহবধূর পরিবার মামলা করতে সাহস করে নি। এমন কি অসুস্থ ভিকটিম চিকিৎসা নিতে যেতেও সাহস করে নি। ঘটনা জানাজানি হয়ে পড়লে দৌলতপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঘটনার ৫ দিন পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর দৌলতপুর থানায় মামলা রুজু হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ জোর তদন্ত শুরু করে। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় মামলার ৪ দিন পর ২২ সেপ্টেম্বর মামলার অজ্ঞাত নামা ১৫ আসামির ১ জনকে গ্রেফতার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামী হলো
পাবলা কেশবলাল রোডের ইব্রাহিম শেখের পুত্র মোঃ ফোরকান শেখ (২২)। এদিকে ধৃত আসামী নিজের গণধর্ষনের সাথে সম্পৃক্তের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবান বন্দি দিয়েছে আদালতে। আসামী ফোরকানকে শনিবার বেলা ১১টায় জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। অপর দিকে এ মামলায় বাবুল নামে এক আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বাবুল অজ্ঞাতনামা ১৫ জনের মধ্যে একজন বলে দৌলতপুর থানার ওসি তদন্ত এ প্রতিবেদককে জানান।
গৃহবধূ দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলাটি এ অঞ্চলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ভিকটিমের এজাহারের ভিত্তিতে দৌলতপুর থানার মামলা নং- ১৫, তারিখঃ ১৮/০৯/২০২৩, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী- ২০২০) এর ৯ (৩) তৎসহ ৫০৬ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু করা হয়। পরবর্তীতে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশনায় উক্ত মামলার ঘটনায় জড়িত আসামী দৌলতপুর পাবলা কেশবলাল রোডের মোঃ ইব্রাহিম শেখের পুত্র মোঃ ফোরকান শেখ (২২) কে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় দৌলতপুর থানাধীন নতুন রাস্তা কবির বটতলা
এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য,গত ১৩ সেপ্টম্বর বিকাল ৪ টার দিকে ভিকটিম তার স্বামীর কাছে বেড়াতে আসে। সেই সময় উপরোক্ত আসামীগণ রাত সোয়া ১০টার দিকে আসামীগণ বাদীর বর্ণিত ভাড়া করা বাসায় একা পাইয়া কু-প্রস্তাব দেয়। বাদী আসামীগণের প্রস্তাবে রাজী না হইলে আসামীগণ জোর পূর্বক বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। বাদী চিৎকার করলে আসামীগণ বাদীকে বিভিন্ন ধরণের ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে বাদী শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হওয়ায় চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর থানাধীন সবুজ সংঘ মাঠ সংলগ্ন সূর্যের হাসি ক্লিনিকে চিকিৎসা গ্রহণ করে। মামলায় খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানার পাবলা গ্রামের কেশবলাল রোডের মোঃ দুলালের পুত্র (১) মোঃ আল-আমিন (৩৯) ও (২) হৃদয় (২০) এবং ইসরাফিল শেখের পুত্র (৩) মোঃ রাকিব শেখ (২২) সহ আরো অজ্ঞাত ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।