খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার গুইমারার জালিয়াপাড়ায় ইসমা মনি(১৯) নামে এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার(১৯ সেপ্টেম্বর) শয়নকক্ষে সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়নায় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় এই ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত গৃহবধূ গুইমারা উপজেলার লুনধ্যুক্যাপাড়ার মৃত মো. ইউছুফ আলীর মেয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ, পরে জালিয়া পাড়ায় একটি ভাড়ায় থাকা টিনের ঘরের শয়নকক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সাথে বাঁধা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ইসমা মনির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘরে রবিন তার স্ত্রীসহ বসবাস করতো। স্বামী মো. রবিন জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা আলী আহম্মদের ছেলে। সে পেশায় পরিবহণ শ্রমিক।
গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, নিহত ইসমা মনিকে স্বামী পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়িকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গৃহবধূর বোন নার্গিস অভিযোগ করে জানান, বিয়ের কাবিন নিয়ে রবিন প্রায়ই তার বোন ইসমাকে নির্যাতন করতো এবং অনেকবার তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি অভিযোগ করেন, রবিনই ইসমাকে খুন করেছে। গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রাজীব কর জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী রবিন পলাতক রয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।