বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ স্বামীর অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন সইতে না পেরে অবশেষে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ ও সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছেন এক শিশু সন্তানের জননী হোসনে আরা ময়না। সাম্প্রতিক বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বাগেরহাট জেলা শাখায় অভিযোগ ও ৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাব, চিতলমারী,এর কার্যালয়ে স্বামী মোঃ আলিফ সরদারের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন হোসনে আরা ময়না। ময়না বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বড়গুণী গ্রামের মোঃ ছমির উদ্দিন মোল্লার মেয়ে। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান ২০২১ সালে প্রেমের সম্পর্কে চিতলমারী উপজেলার বড়গুণী গ্রামের নেয়ামত সরদারের ছেলে মোঃ আলিফ সরদারের সাথে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ( যার রেজিঃ নং-২০০/২১, ভলিউম নং-২৮, পৃষ্ঠা নং-২৬, রেজিস্ট্রার, মোঃ কাওছার হাওলাদার, ৮ ও ৯ নং-ওয়ার্ড গোপালগঞ্জ পৌরসভা)।
এ অবস্থায় দু’জনের গোপালগঞ্জের ভাড়া বাড়ীতে ভালই কাটছিল। কিছুদিন পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। বর্তমান ওই শিশুটির বয়স ৯ মাস হলেও ছেলের বাবা আলিফ সরদার এক নারীর সাথে পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। ঘটনার প্রেক্ষিতে স্বামীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ময়নাকে গুনতে হয়েছে কঠিন পরিনতি। তাকে শিশু সন্তান সহ বাসা থেকে তাড়িয়ে দেন স্বামী আলিফ সরদার।
বর্তমান ময়না তার শিশু সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ীতে আশ্রায় নিয়েছেন। স্বামীর মর্যাদা এবং সন্তানের পরিচয় অস্বীকার করার কারনে অসহায় হোসনে আরা ময়না আইনী সহায়তা ও নেজ্য বিচার পেতে প্রশাসন ও সমাজের সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন কালে ময়না আরো জানান, তিনি তার বাবার বাড়ী থেকে স্বামী আলিফ সরদারকে যৌতুক বাবদ ও ধার বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। কিন্ত ধারের ও যৌতুকের টাকা চাইতে গেলে তাকে ও তার বাবার বাড়ীর সকলকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন প্রভাবশালী আলিফ সরদার ও তার লোকজন। স্ত্রীর অনুমতি না’ নিয়ে দ্বিতিয় বিয়ে করা কোন প্রকার আইন সঙ্গত নয় বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন। এ বেপারে হোসনেয়ারা ময়নার স্বামী মো: আলিপ সদ্দারের সঙ্গে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন আমি এই নামে কোনো মহিলা কে চিনিনা।