শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শেরপুরের বিশালপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সাতবাড়িয়া এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের টিউবওয়েলের মাথা খুলে নিজ ঘরে রেখে দিয়েছে একই এলাকার মৃত ফরজ আলীর ছেলে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ইমরান হোসেন।এতে পানি সংকট ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে আশ্রয় প্রকল্পে থাকা চারটি পরিবারের। ১৪/৮/২০২৩ তারিখ সোমবার, সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বিশালপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সাতবাড়িয়া এলাকায় মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাকা ঘর দেওয়া হয়।উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ঘেঁসে সরকারি যাইগা দখল করে খঁড়ের পাঁলা দেওয়া হয়েছে।উক্ত খঁড়ের পাঁলার পাশ দিয়ে টিউবওয়েলের পানি গড়াকে কেন্দ্র করে গত দুইমাস আগে টিউবওয়েলের মাথা জোরপূর্বক খুলে নেয় একই এলাকার মৃত ফরজ আলীর ছেলে খঁড়ের পাঁলার মালিক ইমরান।এতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন।আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে দেখা দিয়েছে পানির সংকট তারা দুর থেকে খাবার ও গোসলের পানি সংগ্রহ করছেন।আশ্রয়ণ প্রকল্পের
বেশির ভাগ মানুষ বয়^ক হওয়ায় তারা দুর থেকে পানি টেঁনে আনতে পারছেন না।ইমরান হোসেন এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না কেউ।নাম বলতে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান,ইমরান এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি তার কথায় চলে এই সাতবাড়িয়া গ্রাম। গ্রামে তিনি তৌরি করেছেন একাদিক লাঠিয়াল বাহিনী সারারাত চুষে বেড়ায় সারা এলাকা।যে ব্যক্তি এই এলাকায় ইমরানের কুকর্মের তথ্য নিতে আসেন ইমরান উল্টো তাদের ছবি তুলে রেখে তাদেরকেই ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করে। কেউ কিছু বললেই তার উপর চলে অমানবিক নির্যাতন।এর আগেও একাধিক বার এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের টিউবওয়েলের মাথা খুলে নিয়েছে ইমরান।এই আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দূত টিউবওয়েলের মাথা লাগানে সহ ইমরানের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তির দাবি জানাই। এই বিষয়ে বিশালপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মোঃসাইফুল ইসলাম জানান,আশ্রয়ণ প্রকল্পের টিউবওয়েলের মাথা খুলে নেওয়া কথা শুনেই এখানে ছুটে এসেছি এবং ইমরানের নিকট
থেকে টিউবওয়েলের মাথা উদ্ধার করে টিউবওয়েলে লাগিয়ে দিয়েছি।তবে ইমরানের খঁড়ের পালা সরকারি যাইগাতেই রয়েছে।আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে জোরপূর্বক টিউবওয়েলের মাথা খুলে নিয়ে নিজ বাড়িতে দুইমাস যাবৎ রেখে অন্যায় করেছে ইমরান।আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ইমরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই বিষয়ে শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃরেজাউল করিম জানান,বিষয়টি আমি জানি পরবর্তীতে ওই ইউনিয়নের নায়েবকে দিয়ে প্রাথমিক তদন্ত করে টিউবওয়েলের মাথা ইমরান হোসেন নামের ওই এলাকার এক যুবকের নিকট পাওয়া যায়।পরে টিউবওয়েলের মাথাটি আবার প্রতিস্থাপন করা হয়।এই বিষয়টি নিয়ে আরো তদন্ত করে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।