দাকোপেবিজ্ঞানীআচর্যপ্রফুল্লচন্দ্র রায়ের জন্মবার্ষিকী পালিত

শচীন্দ্র নাথ মন্ডল দাকোপ খুলনাঃ খুলনার দাকোপ উপজেলায় চালনা আচার্যপ্রফুল্লচন্দ্র রায় স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী আচর্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের ১৬২ তম জমন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্য আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ননা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে ৭ আগষ্ট সকাল ১১ টায় চালনা বাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে আর্ষচ প্রফুল্ল চন্দ্র রায় স্মৃতি সংসদের সভাপতি এস এম নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমলেন্দু রায়ের সঞ্চালনায় মাল্যদান, আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ট্রেজারার বিশিষ্টশিক্ষাবিদ আধ্যাপক সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড, শেখ রজিকুল ইসলাম, দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জয়দেব চক্রবর্তী, সহকারী কমিশনার ভুমি পাপিয়া সুলতানা, , খুলনা আইডিয়াল নাসিংহোমের ডাঃ গৌতম রায়, বক্তব্য দেন গবেষক অধ্যাপক সুরঞ্জন রায়, অধ্যাপক সঞ্জয় সাহা, কিশোর রায়, গৌতম সাহা, সুব্রত কুমার মিস্ত্রী, ডাঃ আদিত্য কুমার মন্ডল,

নেপাল গাইন।এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা, সাংষ্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, সূধী সমাজে সহ সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী গন উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন – বিজ্ঞানী আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় ১৮৬১ সালের ২ আগস্ট খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপোতাক্ষ বিধৌত রাড়লীগ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম জমিদার হরিশ চন্দ্র রায়চুৌধুরী, মাতা ভুবণ মোহিনী দেবী। তিনি একাধারে ছিলেন রসায়নবিদ, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক, দানবীর, সমাজসেবক, রাজনীতিবীদ, দার্শনিক, অর্থনীতিবীদ ও সমবায় দর্শনের প্রবক্তা। দেশ বিদেশে তার নামে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ১৯৪৪ সালে ১৬ জুন ৮৩ বছর বয়সে জগদ্বিখ্যাত এ বিজ্ঞানীর জীবনাবসান ঘটে চিরকুমার কুমার অবস্থায়। জীবদ্দশায় তিনি তাঁর সারা জীবনের অর্জিত সম্পদ- সম্পত্তি মানব কল্যাণে দান করে গেছেন।

শিল্পপতি, রসায়নবিদ, সমাজ সেবক, , সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সমবায় আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন তিনি। ১৮৯২ সালে তিনি কলকাতার মানিক তলায় মাত্র ৮’শ টাকা পুঁজি নিয়ে বেঙ্গল কেমিক্যাল এ্যান্ড ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেন। জন্মভূমি রাড়ুলীসহ খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কাপড়ের মিল ও রাড়ুলীতে উপমহাদেশে সর্বপ্রথম সমবায় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। তিনি একাধারে ২০ বছর কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে রসায়ন শাস্ত্রের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। ১৯৩০ সালে তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। এছাড়া একই বছর লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৩৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ভারত বর্ষের মহীশুর ও বেনারস বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top