ইভটিজিংয়ে বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের উপরে হামলা

কলারোয়া উপজেলা প্রতিনিধিঃ কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের দমদমা নতুন বাজারের দুই যুবকের কাছে ইভটিজিং এর শিকার এক নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ বিষয়ে দুইজন ইভটিজিং বিরুদ্ধে অভিভাবকের কাছে অভিযোগ করায় শিক্ষকের উপরে হামলা করেছে দুজন বখাটে যুবক। পাঁচপোতা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের মেয়ে মেহজাবিন আফরিন হেনা(১৫) কে কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত করে আসছিলেন গণপতিপুর গ্রামের যাকাত আলী গাজীর ছেলে হাবিবুর রহমান হাবিব(১৯) এবং একই এলাকার সামাদুল ইসলাম এর ছেলে আলামিন(১৫)। এ বিষয়ে কলারোয়া নবম ছাত্রী বাদী হয়ে থানা একটি অভিযোগ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রী মেহজাবিন আফরিন হেনা সাংবাদিকদের কে জানান, আমি কলারোয়া জি.কে এম কে পাইলট

হাইস্কুলের নবম শ্রেনীতে লেখাপড়া করি। বর্তমানে দমদম নতুন বাজারস্থ মডার্ণ কোচিং সেন্টারে বেলা ০৪.৩০ ঘটিকা হইতে সন্ধ্যা ০৮.০০ ঘটিকার পর্যন্ত কোচিং করি। আমার উক্ত কোচিং সেন্টারে যাওয়ার আসার পথে হাবিবুর রহমান হাবিব আমাকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করা সহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসিতেছিল। আমি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকী ধামকী প্রদান করে। এমনকি আমি প্রস্তাবে রাজি না হইলে হাবিবুর রহমান হাবিব আমাকে জোর পূর্বক অপহরণ করিয়া নিয়ে যাবে। বর্তমানে কারনে আমার লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার পথে। এমতাবস্থায় ইং ১৮ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে আমি বাড়ী হইতে বাই সাইকেল যোগে উক্ত কোচিং সেন্টারের আসার পথে পথিমধ্যে উক্ত আসামীরা এসে আমাকে উত্ত্যক্ত করে এবং কুপ্রস্তাব দেয়। আমি উক্ত আসামীদের

প্রস্তাবে রাজি না হইয়া বিষয়টি আমার কোচিং সেন্টারের স্যারদের জানাইলে আমার কোচিং সেন্টারের স্যারেরা অভিভাবকদের ফোন করিয়া জানাইলে কোচিং সেন্টারের স্যারদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। তারপর পরিকল্পিত ভাবে হাতে
লোহার রড ও বাঁশের লাঠি সহ বিকাল অনুমান ০৪.৪০ ঘটিকার সময় কোচিং সেন্টারের আসিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে। ঐ সময় আমার স্যারেরা প্রতিবাদ করিলে আমার কোচিং সেন্টারের স্যারনের এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট জখম করে। আমাদের ডাকচিৎকারে বাজারে থাকা লোকজন আগাইয়া আসিতে দেখে হাবিব হুমকী দিতে দিতে চলে যায়। এখনো হুমকী প্রদান করিতেছে যে, তাহারা যে কোন সময় আমাকে জোর পূর্বক উঠাইয়া নিয়ে যাওয়া সহ আমার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি। এ বিষয়ে অসহায় ছাত্রী প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে শিক্ষক ওসমান,ওমর ফারুক সাংবাদিকদের কে জানান, আজ বিকালে স্কুল শেষ করে কোচিং এর যাচ্ছিলাম সে সময় ভুক্তভোগী ছাত্রী কানতে কানতে আমার কাছে আসে এবং সে জানায় তাকে বিভিন্নভাবে প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়টি আমি অভিযুক্ত দুইজনের অভিভাবককে অবগতি করি। এরপরে তারা আমার কোচিংয়ের সামনে এসে ছাত্রীর কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাদের কথায় প্রতিবাদ করলে তারা বিভিন্ন দেশেয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপরে হামলা চালায় আমরা এর একটি সুষ্ঠু বিচার দাবি জানাচ্ছি।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিব এবং তার পরিবার এলাকায় উগ্রপন্থী। তারা মানুষের সাথে সবসময় মারামারি ঝামেলায় লিপ্ত থাকে গতবারও এরকম ঝামেলার জন্য থানা পুলিশ এর উদ্যোগে অনেকদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আবার তাদের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি সঠিক বিচার না পেলে এলাকার ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হওয়ার পথে। তাদের বিপক্ষে কথা বলতে মানুষ ভয় পায়।তাদের নিষেধ

করলে তার পরিবারের লোকজন এসে মানুষকে মারধর করে। যার কারণে কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রশাসনের সঠিক উদ্যোগ নিলে এটি বন্ধ হবে বলে মনে করেন তারা।দমদমা নতুন বাজারে এমন ঘটনার পরে বিভিন্ন মহল এর সঠিক বিচারের দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কলারোয়া থানা পুলিশের অফিস ইনচার্জ ওসি মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের কে জানিয়েছেন এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে একটি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top