দাকোপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বছরের পর বছর একই ঠিকাদার নিন্মমানের খাদ্য সরবরাহ করায় রোগীদের সীমাহীন দুর্ভোগ

শচীন্দ্র নাথ মন্ডল দাকোপ খুলনা ::::  খুলনার দাকোপ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের মাঝে নিন্মমানের খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। দাকোপ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ২ বার নোটিশ করলেও কোন উওর দেয়নি খাদ্য সরবরাহ করা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির মালিক সুনীল সাহা। এমন ঘটনায় চিকিৎসা নেওয়ার জন্য রোগীরা ভতি হয়ে চরমদুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। সরেজমিনে তথ্য সরবরাহে জানা যায়, দাকোপ

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর রোগীর দের খাবার পরিবেশ করে আসছে ২০১৪ সাল থেকে স্হানীয় বাসিন্দা ঠিকাদার মেসার্স সুনীল সাহা।ঈদের দিন সকালে সিমাই ও চমচম মিষ্টি দেওয়া হয়েছে।দুপুরের খাবারের খোজ নিয়ে দেখা যায়, ডাল খিচুড়ি মার্কা বিরানি,সাথে ছোট্ট এক টুকরো পোল্ট্রি মুরগীর মাংস। কেহ বলছে ব্রিয়ানি, আবার কেহ বলছে পলোয়ার ভাত। রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, নামের বিরিয়ানিতে চরম

 

দুর্গন্ধ।খুব নিম্নমানের পুরানোযুক্ত চাল দিয়ে, এ বিরিয়ানি তৈরি করা হয়েছে। ঈদেরদিনের দিন উন্নত মানের খাদ্য দেওয়ার কথা থাকলেও অনিয়ম করে দায়সরা বিরিয়ানি তৈরি করে পরিবেশন করা হয়েছে।রোগীদের সাথে সরাসরি সাক্ষাৎ করে জানা যায় খাবারের চালে খুব দুর্গন্ধ।খেতে খুব অসুবিধা। খেতে যদি দুর্গন্ধযুক্ত না হতো, তাহলে তরকারি যাহা দিতো, তাই খাওয়া সম্ভব হতো। চালটা ভালো হলে পানি ও লবণ দিয়ে

 

ভাত খাওয়া যায়। কিন্তু, চালের অবস্থা হলো এই, আবার এখানে একাধারে ছোট সাইজের পাংঙ্গাশ আর আলু খাবারের তালিকায় রয়েছে।ুএ হাসপাতালে মাঝে মাঝে মাংশের নামে একটুকরো মাংস দেওয়া হয়। তবে একটি বিষয় খুবই দুঃখ জনক ঘটনা হলেও সত্য ঘটনা প্রতি দিন হাসপাতালে দেওয়া হচ্ছে,সিদ্ধ চালের নামে একদম নিম্নমানের চালের ভাত, যাহা খেতে অসুবিধা হচ্ছে রোগীদের। এবিষয়ে ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান

 

মালিক সুনীল সাহা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি তার মোইলে সংযোগ টি সাংবাদিক পরিচয় দিতে, কেটে দেন।এ সকল অভিযোগ নিয়ে দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ সুদীপ বালার নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি এখানে এসেছি সাত মাসের মত,।এখানে আমি আসার পূর্বে অনেক সমস্যা ছিলো,সেগুলো পুরোপুরি সমাধান না করতে পারলেও, কিছু কিছু সমাধান

 

করছি।একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খাবারের বিষয়টি নিয়ে,আমি নিজে বার বার বলেছি। আমি বর্তমান দায়িত্বরত টিকাদারকে খাবারের বিষয় দু বার চিঠিও দিয়েছি।তারা আমাকে কোন সাড়া দেয়নি। আমি এ বিষয়, উপর মহলকে অবগত করেছি। আসা করি বিষয়টি উপর মহল দেখবেন। তবে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী তথা সচেতন মহল দাবী করেছে সংশ্লিষ্টকর্মকর্তাদের নিকট ঐ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি পরিবর্তন করে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া। নাহলে এমনি করেই ভোগান্তির স্বীকার হতে হবে রোগীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top