মামুনুর রশিদ মামুন, দিনাজপুর :::: দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪৯) এর অর্ধগলিত মরদেহ নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা-পুলিশ। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে,মঙ্গলবার (৪ জুলাই)/২৩ অনুমানিক রাত ৯ টায় জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে।সে পার্বতীপুর পৌরসভার সাবেক রেলওয়ে মিলনায়তন মাঠ সংলগ্ন বাবু
পাড়ার রেলওয়ের জায়গায় টিন সেটের বাড়িতে ব্যাচেলরী জীবণ যাপন করতেন।সে পার্বতীপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া নিবাসী মৃত নুর আলমের বড় ছেলে ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জবেদ আলীর বড় ভাতিজা। সে দীর্ঘদিন ধরে পৌরসভাধীন বাবুপাড়ায় বসবাস করে আসছেন। তিনি পৌরসভার পর পর তিন বার কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এলাকাবাসী জানান,কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম কে রবিবার
সকালে বাড়ীর আসপাশে ঘুরা-ঘুরি করতে দেখা গেছে বলে অনেকে জানান।এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার ছোট ভাই গত রবিবার দুপুরে গ্রামের বাড়ি থেকে দুপুরে খাবার নিয়ে এসে খাইয়ে যান গত সোমবার দুপুরে আবারো খানা নিয়ে আসলে বাহিরের গেটে তালা দেখে ফিরে যান এমন কি তার ফোনেও বন্ধ ছিল বলে জানান। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, তিনি দীর্ঘ দিন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্ত চাপে ভুগছেন।
সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তারা ধারনা করছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর অনেকেই রাস্তা দিয়ে চলার পথে বাসার ভিতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হলে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ কে খবর দিলে রাত ৯ টায় বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করলে দেখে জাহাঙ্গীর আলম তার সয়ন কক্ষে মৃত অবস্থা বিছানায় পড়ে আছে। এলাকা বাসীর ধারনা দুই একদিন পূর্বে তাঁর মৃত্যু হতে পারে! রেলওয়ে
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ছুটে আসেন পার্বতীপুর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন ও কাউন্সিলর মঞ্জুরুল ইসলাম,জাহাঙ্গীর আলম,রুস্তম আলী,শরিফুল ইসলাম সহ আরো অনেকে। পার্বতীপুর পৌরসভার
মেয়র আমজাদ হোসেন এবং রেলওয়ে থানার ওসি এ কে এম নুরুল ইসলাম মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। জানতে চাইলে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে কোনরকম ওজর-আপত্তি না থাকায় মরদেহ সজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।