মেহেদি হাসান নয়ন, বাগেরহাট:::: বাগেরহাট শহর থেকে আনুমানিক ১০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পুরাতন রূপসা-বাগেরহাট সড়কের যাত্রাপুর বাজার হতে প্রায় ৩ কিলোমিটার ভেতরে সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের অযোধ্যা গ্রামের কাটা খাল নদীর পূর্ব তীরবর্তী অবস্থিত অযোধ্যা মঠ বা কোদলা মঠ। বিশ্ব ঐতিহ্য স্থল ষাটগম্বুজ মসজিদ থেকে প্রায় ১০ কি. মি. উত্তরে কোদলা মঠ নামেও পরিচিতি আছে
লোকমুখে বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের বিভিন্ন নির্দেশিকায় অযোধ্যা বা কোদলা মঠের বিশেষ আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে বাইরের অপরুপ কারুকাজ সমৃদ্ধ অলঙ্করণ। বর্গাকার ভূমি পরিকল্পনায় চতুষ্কোণ বিশিষ্ট ভিতের উপর সংক্ষিপ্ত ও খন্ডলিপির সপ্তদশ শতাব্দীতে বারো ভুঁইয়ার অন্যতম রাজা প্রতাপাদিত্যের উদ্যেগে তার গুরু(সভাপন্ডিত) অবিলম্ব স্বরস্বতীর স্মতিস্তম্ভ হিসাবে”তারকের (ব্রক্ষ্ম)প্রাসাদ লাভের
উদ্দেশ্যে এ মঠটি সম্ভবত একজন ব্রাক্ষ্মণ (শর্মনা)কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। অনিন্দ্যসুন্দর এ মঠটির উচ্চতা আনুমানিক ১৮.২৯ মিটার। ইটের তৈরী মঠের প্রাচীর গুলির পুরুত্ব ৩.১৭ মিটার এবং ভেতরের বর্গাকার প্রত্যেক দেয়ালের দৈর্ঘ্য ২.৬১ মিটার, দেয়ালের পালিশ করা লাল ইটগুলি অতি উচ্চমানের। মঠটির উচ্চতা ভূমি হতে প্রায় ৬৪ ফুট ৬ ইঞ্চি, এ মঠের বিশেষ আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর বাইরের অলঙ্করণ। উড়িষ্যা
অঞ্চলে খ্রীষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দীতে পর্যমত্মে এই স্টাইলে মন্দির নির্মাণ পদ্ধতি দেখা যায়, তার প্রভাব এ মঠে আছে বলে ধারণা করা হয়। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতাধীন থাকলেও এই মঠের নেই কোন সংস্কার। ঐতিহাসিক প্রাচীন নির্দাশনা দেখতে আসা পর্যটক আসলেও তাদের জন্যে
নেই কোন বিশেষ ব্যবস্থা। সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় অযোধ্যা গ্রামের এই কোদলার মঠ’ এ হাজারো শালিক পাখির বসবাস এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ধারক বাহক কোদলার মঠ ধরে রাখতে অতি দ্রুত মঠটি সংস্কার করলে পর্যটন খাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।