রনিকা বসু ( মাধুরী) বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাম্প্রতিক রাতের আঁধারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশিত ওলামা লীগের বিতর্কিত কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদে মুর্খ নারীলোভী জনৈক আমিনুল হককে বাদ দেয়ার দাবিতে ২২ জুন ২০২৩ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ জাতীয় ওলামা সমন্বয় পরিষদের দেশবরেণ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সপক্ষের দেশপ্রেমিক ১০৭জন আলেম নেতৃবৃন্দের বিবৃতি। যৌথ বিবৃতিতে আলেম-ওলামা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এশিয়ার প্রাচীনতম একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের নেতৃত্বেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিক মহা-নায়ক বাংলাদেশের স্থপতি ও প্রথম রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে নির্দেশেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জিত। জাতির পিতা ও তার কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা দেশের অকল্পনীয় উন্নয়নসহ ইসলামের বহুমুখী খেদমত করেছে এবং করে যাচ্ছে। বঙ্গকন্যার উন্নয়নের প্রশংসা দেশের ভৌগলিক সীমারেখা
ছেড়ে আন্তর্জাতিক মহলে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ আজ সর্বসূচকে বিশ্বের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদৃঢ় নেতৃত্বও বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় এবং বিশ্বনেতার মধ্যে অন্যতম। শেখ হাসিনা শোককে শক্তিতে পরিণত করে পিতার পথ ধরে অসম্প্রদায়িক চেতবোধে থেকেও ধর্মীয় মূল্যেবোধে জায়গায় বিশ্বের অনন্য দৃষ্টান্ত। আমরা আল্লাহ সোবহানাহু তা’য়ালার দরবারে রাসূলে কারীম রাউফুর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামার সদকায় তার নিরাপদ দীর্ঘায়ু ও সুস্থাতা কামনা করি। তিনি যেনো তার পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে স্বীয় ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারেন।
ওলামায়ে কিরাম আরো বলেন, আমরা সাম্প্রতিক দেখলাম আওয়ামী লীগের সমমনা সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২৮ জনের একটি কমিটি প্রকাশিত হয়েছে। ওলামা লীগের দলীয় স্বীকৃতি ও কমিটি দেখে আমরা আনন্দিত হয়েছি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো কমিটিতে নামের তালিকা
দেখে আমরা সত্যিই আহত হয়েছি। কারণ দীর্ঘদিন ধরে যেসমস্ত আলেম-ওলামা পীর-মাশায়েখকে ওলামা লীগের নেতা হিসেবে চিনি এবং জানি কমিটিতে তাদেরকে মূল্যায়িত করা হয়নি। এমনকি রাজপথের ত্যাগী নেতা অনেকের নামই ঐ তালিকার মধ্যে নেই। কমিটিতে দেখলাম আব্দুল মমিন সিরাজী সভাপতি ও আমিনুল হক সাধারণ সম্পদক চেষ্টা করলাম তাদের চিনা যায় কিনা বারবার স্মরণ করেও স্মৃতিতে আনতে পারলাম না। বুঝতে আর বাকি রইলা তারা যে নবাগত। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক খুলে দেখি ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস। গণমাধ্যম দৈনিক পত্রিকায়ও দেখলাম একই চিত্র। পরবর্তীতে খোঁজখবর নিয়ে জানলাম এই আমিনুল মাদরাসায় পড়ালেখা করেনি। সে তাবলীগ সা’য়াদ গ্রুপের সদস্য ও ঢাকা চকবাজারে একজন ব্যবসায়ী।
বিবৃতিকারী আলেম-ওলামাবৃন্দ বলেন, ওলামা লীগের মতো আলেমদের একটি রাজনৈতিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বে-আলেম এবং উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত না এমন
লোক হতে পারেনা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া কথিত সম্পাদকের আপত্তিকর ভিডিও আমাদের কে চরমভাবে লজ্জিত করছে। আমরা মনে করি এইধরণের লোককে ওলামা লীগের সম্পাদক বিবেচিত করা সমীচীন হয়নি। এতে আলেম সমাজ হয়েছে কলঙ্কিত এবং মর্যাদাহানিসহ মূল্যবোধের উপর এসেছে আঘাত। তাই আলেমপ্রেমিক বঙ্গবন্ধু’র কন্যার কাছে আমাদের জোর দাবি দ্রুত সময়ের মধ্যে নোংরা মস্তিষ্কের ভণ্ড আমিনুল হককে বাদ দিয়ে ত্যাগীদের মধ্য হতে মেধাসম্পন্ন ভালো সাংগঠক একজন আলেমকে ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করুন। এবং রাজপথের প্রকৃতকর্মীদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জাতিকে উপহার দিন। যার মাধ্যমে ওলামা লীগ হবে ভণ্ড প্রতারক মুক্ত। আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এইকাজটি করে দেশের ওলামায়ে কিরামকে কলঙ্ক থেকে পরিত্রাণ দিবেন।
বিবৃতিদাতা ওলামায়ে কিরাম হলেন, মুফতী মোঃ শামসুজ্জামান কাসেমী, মাওঃ হাবিবুর রহমান গাজীপুরী, মাওঃ শওকত আলী ঝালালী, শাইখ মুফতী নো’মান চৌধুরী ফুলপুরী, মাওঃ আব্দুর রহমান, হাফেজ ক্বারী এনায়েত উল্লাহ, মাওঃ মহি উদ্দিন গালেবী, মুফতী খলিলু রহমান মাদানী, প্রিন্সিপাল মাওঃ আশিকুর রহমান মানিক, মাওঃ আব্দুল গফুর গহরডাঙ্গী, মাওঃ লিয়াকত হোসাইন জামাল, মাওঃ মনিরুজ্জামান আশেকী, মাওঃ আব্দুস সোবহান ইসলামাবাদী, মাওঃ এমদাদুল ইসলাম আজহারী, হাফেজ মাওঃ সাঈদুর রহমান নদভী, মাওঃ আব্দুল মোমেন, মাওঃ শফীকুল ইসলাম, মাওঃ এখলাছুর রহমান রব্বানী, মাওঃ আলী আব্বাস সালেহী, মাওঃ আব্দুল হাদী নেছাপুরী, মাওঃ আবূ ছুফিয়ান বাঙ্গালি, মাওঃ আজিজুর রহমান টাঙ্গাইল, মাওঃ জাকারিয়া হোসাইন কাদেরী, প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওঃ আব্দুল করিম, হাফেজ জুনাইদ, মাওঃ লুৎফুর রহমান এখলাছপুরী, মাওঃ আব্দুর রব, খন্দকার মাওঃ আরিফুর রহমান, মাওঃ সাঈয়েদ নূর মুহাম্মদ বাবুল, ক্বারী মাঈনুদ্দিন আবরার, হাফেজ শফিকুর রহমান, মুফতী আতাউর রহমান, মুফতী তৈয়বুর রহমান, অধ্যাপক মাওঃ নূরুল ইসলাম শাহপুরী, মাওঃ আবূ মুসা রূহানী, মাওঃ জামাল উদ্দিন নূরী, ও মাওঃ আব্দুল মতিন মৃধা প্রমুখ।