খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি:::: খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আগামী ১২জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি। কেসিসি ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের শেষ মুহুর্তের প্রচার-প্রচারণার ব্যস্ত সময় পার করছে। ওয়ার্ডের হাটে-বাজারে, দোকানপাটে, মোড়ে মোড়ে , চায়ের দোকান সহ জনসমাগম হয় এমন সকল স্থান গুলোতে এখন একটাই আলোচনা কে হতে যাচ্ছে ওয়ার্ডের
কাউন্সিলর । স্ব-স্ব প্রার্থীর সমার্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে এগিয়ে রাখলেও ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটাগণ প্রার্থীদের ব্যাপারে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে। ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের বিশ্লেষণে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডে মোট ৬জন প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে শেখ আব্দুর রাজ্জাকের ঘুড়ি, শাহাদাত হোসেনের ঠেলাগাতি প্রতীক, মনিরুজ্জামান খান খোকনের ব্যাডমেন্টান র্যাকেট এবং এস
এম আজিজুর রহমান স্বপনের লাটিম প্রতীকের মধ্যে। আর ২নং ওয়ার্ডে ৩জন প্রার্থীর মধ্যে মো. সাইফুল ইসলামের ঠেলাগাড়ি প্রতীকের সাথে এস এম মনিরুজ্জামান মুকুলের ঘুড়ি প্রতীকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের কথা বলছে ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটার। নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডের ৫টি কেন্দ্র এবং ২নং ওয়ার্ডের ২টি কেন্দ্র অধিক ঝুকিপূর্ন মনে করছে ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটাগণ। আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ট,
সুন্দর শান্তিপুর্ণ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে নির্বাচন কমিশনার এবং আইন শৃংখলা বাহিনীর শক্ত অবস্থান, ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ায়, কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্তে কাউন্সিলর প্রার্থী এবং ভোটারদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কাউন্সিলর এবং সাধারণ ভোটাররা বলছে প্রশাসনের নিরপেক্ষ অবস্থানে ইভিএম এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ভোটগ্রহণের আয়োজন করায়
সাধারণ ভোটারগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বিগ্নে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার সুযোগ হয়েছে। এই সুযোগে পেশিশক্তি এবং অবৈধ লেনদেনের বাইরে গিয়ে ভাগ্য খুলতে পারে ওয়ার্ডের গ্রহণযোগ্য কাউন্সিলর প্রার্থীর। কেসিসি ১নং ওয়ার্ডে মোট ৬জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর শেখ আব্দুর রাজ্জাক ঘুড়ি প্রতিক, সাবেক কাউন্সিলর শাহাদাৎ হোসেন মিনা ঠেলাগাড়ি
প্রতীক, সাবেক প্যানেল মেয়র মনিরুজ্জামান খান খোকন ব্যান্ডমেন্টান র্যাকেট, এস এম আজিজুর রহমান স্বপন লাটিম প্রতীক, নাসিরের প্রতীক রেডিও এবং মফিজুর রহমান রনি ট্রাক্টর প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটাররা বলছে আওয়ামী লীগের দলীয় ৩জন প্রার্থী থাকায় দলীয় ভোট তিন ভাগে বিভক্ত হচ্ছে। এছাড়া এই ওয়ার্ডের ভোট ব্যাংক হিসাবে সনাতন ও খ্রিষ্ট্রান ধর্মের বড় একটা
অংশের ভোটও তিন ভাগে বিভক্ত হওয়ায় এস এম আজিজুর রহমান স্বপন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঘুরে দাড়িয়েছেন। আওয়ামী লীগের শক্তিশালী একাধিক প্রার্থী থাকায় ভোটের লড়াইয়ে শক্ত অবস্থানে আছে এস এম আজিজুর রহমান স্বপন দাবী আওয়ামী লীগের আনেক নেতা কর্মীর। সাধারণ ভোটারদের দাবী ১নং ওয়ার্ডের ৮টি সেন্টারের মধ্যে আবু সুফিয়ান প্রার্থমিক বিদ্যালয় সেন্টার, শহীদ জিয়া মহাবিদ্যালয় সেন্টার,
মহেশ্বরপাশা বালিকা সেন্টার, বনিকপাড়া সরকারি প্রার্থমিকবিদালয় সেন্টার এবং পল্লীতির্থ সরকারি প্রার্থমিক বিদ্যালয় সেন্টার অধিক ঝুকিপুর্ণ। সকল কিছু ঠিকঠাক থাকলে এই ওয়ার্ডের ১৬ হাজার ৭৫৫জন ভোটার তাদের কাংখিত ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। অপরদিকে কেসিসি ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোট ৩জন এর মধ্যে সদ্য সাবেক কাউন্সিলর সাইফুল
ইসলাম ঠেলাগাড়ি প্রতীক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল ঘুড়ি প্রতীক এবং বজলুর রহমান টিফিন ক্যারিয়ার প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সাধারণ ভোটারদের দাবী এই ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলামের ঠেলাগাড়ি এবং এস এম মনিরুজ্জামান মুকুলের ঘুড়ি প্রতীকের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তারা বলছে পেশি শক্তি এবং অবৈধ অর্থের লেনদেন থেকে বেরিয়ে এসে ওয়ার্ডের মানুষ
তাদের পছন্দের জনপ্রতিনিধি বেছে নিতে ভুল করবে না। এই ওয়ার্ডের মোট ৫টি কেন্দ্রের মধ্যে কৃষ্ণমোহন ও ফুলবাড়ীগেট ইউসেপ স্কুল কেন্দ্র ঝুকিপুর্ণ বলে মনে করছে। আগামী ১২ জুন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের ৯হাজার ২৪২ জন ভোটার ওয়ার্ডের উন্নয়নে আগামী পাচ বছরের জন্য তাদের জনপ্রতিনিধি কাউন্সিলর নির্বাচন করতে ভুল করবেন না।