মীর ইমরান -মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ মাদারীপুরের শিবচরে জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারের বিষয়ে চার দিন ব্যাপী ক্যাম্পিং। বাংলাদেশে বছরে জরায়ু-স্তন ক্যান্সারে ১১ হাজারের অধিক নারী আক্রান্ত হচ্ছে এবং ৬ হাজারেরও বেশি নারী মারা যায়। একই সঙ্গে নারীদের জরায়ু-স্তন আবরণী কোষগুলোতে বিভিন্ন কারণে সামান্য পরিবর্তন হয়ে।এর ফলে ১০ থেকে ১৫ বছরে ক্যান্সারে রূপ নেয়। শুরুতে চিহ্নিত হলে এ রোগ
শতভাগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গাইনী বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাক্তার আশরাফুন্নেছা প্রকল্প পরিচালক, জরায়ু ও স্তন সাজিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রীনিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় কেন্দ্র স্থাপন’শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাদারীপুরের শিবচরে গত ( ৩ই জুন – ৬ই জুন) পর্যন্ত জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারের পরীক্ষা ক্যাম্পিং করা হয়। এ পরীক্ষার
পরিচালনা প্রদান কারী দলের প্রধান বলে পরিচয়দান কারী ব্যক্তির কাছে সাংবাদিকরা এ প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন এ প্রকল্পের বিষয়ে কোন কিছু অফিস প্রধানের অনুমতি ছারা জানানো যাবে না। জরায়ু ও স্তন সাজিক্যাল এন্ড ব্রেস্ট ক্যান্সার স্ক্রীনিং ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জাতীয় কেন্দ্র স্থাপন’শীর্ষক প্রকল্পের জেলা প্রদান পরিচয় দানকারী ব্যাক্তির আরো এ ক্যাম্পিং এ প্রচারনা ও ক্যাম্পিং
বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটারও কিছু বলা যাবে না। শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অফিসিয়াল কাজে প্রচন্ড ব্যস্ত ছিলেন। শিবচরের কৃতি সন্তান আব্দুস ছালাম খান,যুগ্ন-সচিব ( পরিকল্পনা অধিশাখা)স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, ব্যবস্থাপনায় জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারের এ ক্যাম্প পরিচালিত হয়। মাদারীপুর জেলা কর্মরত দৈনিক আজকের দর্পণ, বাংলা এফ এম জেলা প্রতিনিধিঃ মীর ইমরান,অগ্নীবাতা
বিশেষ প্রতিনিধিঃ দেবাশীষ অধিকারী, দৈনিক খবরের আলো জেলা প্রতিনিধিঃ জয়নুল বিশ্বাস, বঙ্গ টিভি জেলা প্রতিনিধিঃ নাজমুল হাসান,প্রথম বেলা জেলা প্রতিনিধিঃ কামাল হোসেন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার জেলা প্রতিনিধিঃ মাসুদ হোসেনের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জন মোঃ মনির আহমেদ খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান সাংবাদিকরা এই বিষয়ে জানতে চাওয়া কে শুভ উদ্যোগ বলে
বননা করেন। তিনি আরো বলেন ক্যান্সার একটি শরীরের অনিয়ন্তিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত একটি রোগ। জরায়ু মুখ ও স্তন ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য শিবচরে ৪ দিন ব্যাপী বিশেষ ক্যাম্প করা হয় । এ ক্যাম্পের মাধ্যমে জরায়ুর মুখে ক্যান্সার ধরা পরলে ,পরবর্তীতে ঢাকায় রেফার করা হয়। এর রোগে ভ্যাকসিন আছে যার ফলে সময় মত ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে ক্যান্সার থেকে রক্ষা সম্ভব। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে
(epi) কর্মসূচির সাথে যুক্ত হয়ে ৯-১৫ বছরের সকল নারীদের ভ্যাকসিন দেয়া হবে,৩০ – ৬০ বছরের সকল নারীদের জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারের এ পরীক্ষা করা উচিত বলেও মনে করেন। এ রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলে মহামারী রূপ ধারণ করতে পারে। এ জরায়ু ও স্তন ক্যান্সারের চিকিৎসা বিনা মূল্যে দেশের সকল জেলা ও অনেক উপজেলা হাসপাতালে করা হয়। এ পরীক্ষা করার জন্য প্রতৈকের ন্যাশনাল আইডি কাড বা জম্ম নিবন্ধন প্রয়োজন হয়।