বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ বাগেরহাটের রামপালে মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে কিশোরকে নির্যাতনের ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ গত মঙ্গলবার ( ৬ জুন ) কৈশরদাসকাঠি এলাকায় ওই যুবক নির্যাতনের শিকার হয় ৷ এ ঘটনায় নির্যাতিত যুবকের চাচী চম্পা বেগম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযান চালিয়ে আসামীদের আটক করা হয় ৷ পুলিশ জানায়, কৈগরদাসকাঠি এলাকার আক্তার শেখের পুত্র
ফয়সাল শেখ (২১) পশুর নদীতে মাছ ধরতে যাবার সময় ওই এলাকার ওলী ইজারদার, রোকন উদ্দিন শেখ, হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগীরা মিলে ওই যুবককে মাছ চুরির অপবাদ দিয়ে ওলী ইজারদার মেম্বরের মৎস্য ঘেরে বাসায় ডেকে এনে নির্যাতন করে ৷ পরে তার পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে গেলে তাদের উপরও নির্যাতন করা হয় ৷ এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ অভিযান
চালিয়ে ৭ আসামীকে আটক করে ৷ আটককৃতরা হলেন রামপাল থানাধীন গৌরম্ভা ইউনিয়নের কালিকাপ্রসাদ এলাকার নুরু ইজারদারের পুত্র অলী ইজারদার (৪২) উত্তর বর্নি এলাকার হামিদ মাষ্টারের পুত্র রোকর উদ্দিন শেখ (৪৫), (আত্মসমর্পনকৃত বনদস্যু)-দুইটি অন্যান্য মামলার চার্জশীট ভ‚ক্ত আসামী) চিত্রা (খামঘাটা), এলাকার হাসেম আলী শেখএর পুত্র হাফিজুর রহমান (৩২), (সে একটি অপহরণ মামলাসহ অন্যান্য
মামলার চার্জশীট ভ‚ক্ত আসামী), কাষ্টবাড়ীয়া এলাকার মাহাজিব শেখএর পুত্র পারভেজ সোহেল বাবু (৩১), (সে হত্যা মামলার চার্জশীট ভুক্ত আসামী) প্রসাদনগর এলাকার হুমায়ুন মোল্ল্যা, পুত্র মিসকাত মোল্ল্যা (৩০) কালিকাপ্রসাদ এলাকার শাওকত ইজারাদারের পুত্র, হোসেন ইজারদার (২৪) প্রসাদনগর এলাকার রুহুল আমিন ইজারাদারের পুত্র রনি ইজারদার (২৮) । রামপাল থানার ওসি এস.এম আশরাফুল আলম
সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘের দখল কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারি হয়, এতে ১৫/২০ জন আহত হয় । পরবর্তীতে মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ জনকে আটক করে ৷ বাকীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে তবে এলাকার পরিস্থিত এখন স্বাভাবিক আছে ।