সেলিম খান সাতক্ষীরা :::: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার যোগীখালী ইউনিয়নের উকাপুর গ্রামের পিছের রাস্তা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ। কলারোয়া এলজিইডি আওতায় ৯৯ লক্ষ টাকা বাজেটে কামরুল জামান নামে একজন ঠিকাদার কাজটি হাতে নেন।প্রায় দুই বছর আগে এই রাস্তাটির খনন কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে নিম্নমানের ইট দিয়ে যেমন তেমন করে রোলার দিয়ে বাকি কাজ না করে ঠিকাদার
অবহেলায় ফেলে রাখে রাস্তাটি। দুই বছর পরে কলারোয়া এলজিডি অফিসের চাপে পড়ে রাস্তার কার্যক্রম শেষ তোলেন এই ঠিকাদার। তবে রাস্তা নির্মাণের জন্য তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের পাথর ব্যবহার করা হয়েছে। সারা জমিন গিয়ে দেখা গিয়েছে রাস্তায় বড় বড় পাথর সংখ্যা বেশি থাকায় রাস্তায় ফাঁক হয়ে রয়েছে আবার কোন কোন জায়গায় পিস ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দুবছর ফেলে রাখা রাস্তার উপরে মাটির স্তর করেছে আর
সেই মাটি পরিষ্কার না করেই বিটুমিন দিয়ে রাস্তার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদার কামরুজ্জামান। তবে সরজমি গিয়ে বিটুমিনের ছিটে ফুটাও দেখা মেলেনি শুধুমাত্র কালো আবরণ আর মাটি ছাড়া। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা সাংবাদিকদের কে জানান, এই রাস্তাটি দুই বছর ফেলে রাখার পরে এত নিম্নমানের কাজ হবে এটা আমরা ভাবতে পারিনি। সরকারের টাকা সম্পূর্ণ বিফলে যাচ্ছে বলে মনে করে
স্থানীয়রা। অনেকে দাবি করে বলেন গাছের নিচে এমন রাস্তায় পানি জমে রাস্তা খুব শীঘ্রই ভেঙে যাবে। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে পায়ের সাথে পাথর উঠে আসছে বলে অভিযোগ করেন। বাজেট এর সাথে রাস্তার মান ঠিক নেই বলেও দাবি সাধারণ জনগণের। তবে সরজমিনে সাইট ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে থেকে কাজ চালিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। তবে সাইট ইঞ্জিনিয়ারের
কার্যক্রম কিছুটা উদাসীন।তিনি ঠিকাদারের পক্ষে গান গেয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে সাইড ইঞ্জিনিয়ার সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের কে জানান গাড়ি চলাচল করতে করতে রাস্তা তেলের মতন হয়ে যাবে বলে দাবি করেন। ঠিকাদার রাস্তার কাজে লোকসান করে কাজ করছেন বলেও দাবি করেন এই কর্মকর্তা। আর মাটির দেখা যাচ্ছে সেটি নাকি সম্পূর্ণই গাড়ি চলাচলের করনে পরেছে বলে দাবি এই কর্মকতার। ৯৯
লক্ষ টাকার বাজেটের রাস্তা নির্মাণে ঠিকাদারের অবহেলা ও এলজিডি অফিসের উদাসীনতাকে দায়ী করছে স্থানীয় সচেতন মহল। দুই বছর আগের কাজ ঠিকাদার অবহেলা করে ফেলে রেখে দিয়ে তার ইস্ট্রোমেন্টের দাম বাড়িয়ে নিজেই নিজের ক্ষতি করে ফেলেছে বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন মহল। তবে জনগণ কেন এর মাশুল দিতে হবে এমন প্রশ্ন রেখেছেন সচেতন মহলের। এ বিষয়ে ঠিকাদার কামরুজ্জামান ও
দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন এলজিডি অফিসের উপরে।তিনি সাংবাদিকদের কে জানান সেখানে এলজিডি অফিসের সাত থেকে আট জন লোকজন রয়েছেন আমার লোকজনকে দিয়ে তারা কেন সঠিক কাজ করিয়ে নিচ্ছেন না। যদি বিটুমিনের পরিমাণ কম হয়ে থাকে, পিছের
পরিমাণ কম হয়ে থাকে, কিংবা রাস্তায় মাটি পড়ে থাকে সেটি তো আমার লোকদেরকে বললেই পরিষ্কার করে দেবে। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজ করে দিচ্ছেন এক্ষেত্রে তার কোন উদাসীনতা বা তার অবহেলা নেই বলে দাবি করেন। এ বিষয়ে এলজিডি কর্মকর্তা প্রকৌশলি সুদীপ্ত কর দীপ্ত ঠিকাদারের পক্ষ নিয়ে রাস্তার কাজ সঠিক হচ্ছে বলে দাবি করেন।