খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি: আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের কাংখিত প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে গণসংযোগ, প্রচার প্রচারণায় ভোটের মাঠের লড়ায়ে নেমে পড়েছে। গতকাল ২৬ মে, শুক্রবার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা রির্টানিং কর্মকতার কার্যালয় থেকে প্রতীক পেয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে। আসন্ন খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কেসিসি ২নং
ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে তিন জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বর্তমান কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম পেয়েছে ঠেলাগাড়ি প্রতীক, তরুণ সমাজসেবক ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল পেয়েছেন ঘুড়ি প্রতীক এবং ইসলামী আন্দোলন নেতা বজলুর রহমানের প্রতীক টিফিনক্যারিয়ার। গতকাল ২৬ মে, শুক্রবার কাউন্ডিসলর প্রার্থীরা তাদের কাংখিত প্রতীক পেয়ে কর্মী সমার্থকদের
নিয়ে নিবাচনী মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচার প্রচারণা শুর করেছে দিয়েছে। কাউন্সিলর প্রার্থী মো. সাইফূল ইসলাম(ঠেলাগাড়ি) গতকাল রিটানিং কার্যালয় থেকে নির্বাচনী প্রতীক পাওয়ার পর সেনপাড়া বাইতুল নাজাত জামে মসজিদে জুম্মা নামাজ আদায় করে সকলের দোয়া নিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন সিটি কর্পোরেশনের ২নং ওয়ার্ডে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এ
সকল উন্নয়নমুলক কাজ আমি সরাসরি নিজে ফিল্ডে উপস্থিত থেকে তদারকি করে স্বচ্ছ ভাবে সম্পন্ন করেছি এবং সরকারি সকল বরাদ্দ পেয়েছি তা সঠিক ভাবে বন্টন করেছি। তিনি বলেন ওয়ার্ডের চলমান উন্নয়নমূলক কাজ এবং গৃহীত উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আগামী নির্বাচনে ভোটারগণ তাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। তিনি প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মানে ২নং ওয়ার্ডটি স্মাট ওয়ার্ড
রুপান্তরে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। কাউন্সিলর প্রার্থী তরুণ সমাজসেবক ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল (ঘুড়ি) তার নির্বাচনি প্রতীক পেয়ে ভোটের লড়ায়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নেমে পড়েছে। গতকাল আছরবাদ রেলিগেটে উঠান বৈঠকের মধ্যে দিয়ে তিনি তার আনুষ্ঠানিক নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমি নিজের ব্যক্তিগত সুবিধা বঞ্চিত
অসহায় ও দরিদ্র নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষের পাশে থেকে তাদের সেবা করে এসেছি আগামীতে ও তাদের পাশে থাকবো। এই ওয়ার্ডের অসম্পুর্ন ছোট-বড় রাস্তা-ঘাট, ড্রেন-কালভার্ট এবং ওয়ার্ডবাসীর সুপেয় পানির যে সমস্যা রয়েছে তার সমাধান করা হবে। তিনি বলেন ওয়ার্ডবাসীর যে অভিযোগ জনপ্রতিনিধিদের কাছে পাওয়া যায়না। তাদের এ অভিযোগের জন্য আমি নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডবাসীকে দিনে-রাতে
চব্বিশ ঘন্টা সেবা প্রদানে দুটি হটলাইন নাম্বারের মাধ্যমে জরুরী সেবা সার্ভিস চালু করবো। যে কোন সময়ে যে কেউ ঐ নাম্বারে কল করলে তড়িৎ নাগরিক সেবা প্রদানে দুজন লোক নিয়োগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন খুলনার ২নং ওয়ার্ডটিকে একটি মডেল ওয়ার্ড রুপান্তরে এবং নাগরিকের মৌলিক সুবিধা পেতে যা যা করনীয় সকল কিছু করার সুপরিকল্পনা রয়েছে আমার । ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী ইসলামী আন্দোলনের
নেতা বজলুর রহমান(টিফিনক্যারিয়ার) কর্মী সমার্থকদের নিয়ে গতকাল ওয়ার্ডের সেনপাড়া, মীরেরডাঙ্গাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করে তার প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন। এছাড়া সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুল খালেকের পক্ষে ২নং ওয়ার্ড নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ন শেখ ইউনুচ আলী ও সদস্য সচিব আলহাজ্জ শাহাবুদ্দিন আহমেদ
সেন্টার কমিটির নেতৃবৃন্দসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেছে। গণসংযোগ করেছে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মেয়র পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলনের মেয়র পদপ্রার্থী হাতপাখা মাকার মাওলানা আব্দুল আওয়াল। উল্লেখ্য আগামী ১২জুন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ৩১ ওয়ার্ডের ৫লক্ষ ৩৫ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নগর পিতা সিটি মেয়র নির্বাচিত করবেন।