আদ্রা পরিষদের ৩ টন ভিজিএফ চাল বিক্রি ও বিতরণে অনিয়ম দুর্নীতি

 ছামিউল ইসলাম, জামালপুর:::::: গরিব দু:স্থ ও অসহায়দের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকল্পে দেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে ভিজিএফ কর্মসূচী চালু করেছে বাংলাদেশ সরকার। ভিজিএফ’ বিতরণে উঠেছে ব্যাপক দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খোকার বিরুদ্ধে । এতে সরকারের ভাবমূর্তী যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি বঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় দু:স্থরা । পত্র পত্রিকায় ভিজিএফ চাল বরাদ্দে ,বিতরণে

 

,নিন্মমাণের চাল এবং ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হতে দেখা যায় । কিন্তু সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কমই দেখা যায় বলে জানান এলাকাবাসী । খবরে প্রকাশ, জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নে প্রায় ৩ হাজার ৬শ’ ২৮ জন কার্ডধারীর মাঝে ৩ হাজার ৬ শ’ কেজি ভিজিএফএর চাল বিতরণ বরাদ্দ পেয়েছে। অভিযোগ উঠেছে

 

খাদ্য গুদামের কর্মকর্তার যোগ সাজশে ৩ মেট্রিক টন চাল গুডাউনে বিক্রি করে রেখে, বাকী ৩৩মেট্রিক টন নিন্মমানের চাল সরবরাহ করে অবৈধভাবে মুনাফা লুটেছে ।প্রতি কার্ডধারী ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা থাকলেও ওজনে কম দেয়া হয়েছে । উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের ৯ টি ওয়ার্ডের গরীব ও দু:স্থদের জন্য পবিত্র ঈদুর ফিতর উপলক্ষে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

 

পাওয়া গেছে । প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে এই দুর্নীতি অনিয়মের সাথে ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুর ইসলাম খোকা, মেম্বার ও খাদ্য গুদামের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নির্ধারিত ১০ কেজির স্থলে ৭-৮ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে । এব্যাপারে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা জানান, এ ব্যাপারে কোন লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়নি । একজন দু:স্থ যিনি মাত্র ১০ কেজি চালের জন্য সারাদিন ধর্না দেন তিনি একটি

 

উপজেলা থেকে গাড়ি ভাড়া দিয়ে জেলার কর্মকর্তার নিকট সমাধান চাইবেন এটা ভাবাই যায় না । যদি কোন দু:স্থ যানও তাকে কি অফিস পাত্তা দেবে এমন প্রশ্ন থেকে যায় । জামালপুর জেলার মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নে দরিদ্ররা চাল পায় ঈদুল ফিতরের পর। আবার নতুন করে সামনে কোরবাণীর ঈদে হত দরিদ্ররা ঈদের পর চাল পাবার কথা থাকলেও তা খোকা চেযারম্যানের এক ঘেয়েমির কারণে অনিশ্চিত হয়ে ।

 

কারণ এখনো ঈদুল ফিতরের প্রায় সহাস্রাধিক সুবিধাভোগীরা চাল পায়নি।গোডাউনে চাল নষ্ট হচ্ছে। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ৬/৭জন ইউপি সদস্য বলেন- খোকা চেয়ারম্যান ৩৬ টনের মধ্যে ৩ টন মেলান্দহে বিক্রি করে ৩৩টন চাল পরিষদে নিয়ে আসে। তারা আরো জানান -১২ জন মেম্বারকে বিতরণের জন্য ১৬’ শ আর চেয়ারম্যান ২হাজার কার্ড বিতরণ করে।আমরা ১৬ ‘শ কার্ড গরিবদের মাঝে বিতরণ করতে গিয়ে

 

জনতার কাছে জবাবদিহিতা করতে হয়ছে।আর চেয়ারম্যান ২ হাজার কার্ড দিয়ে আত্মীয়তা রক্ষা করেছেন যেমন -ছাত্রদলের সভাপতির ৬০ টি কৃষকদলের সভাপতির ১০০,জামাতের সভাপতির ১০০,আরেক জমাত নেতার ৫০,বিএনপির নেতার ২০০,ভাজতি জামাই,চাচাতো ভাইকে ১০০হাকিম নেতাকে ১৫০, গাড়ি চালককে ১০০এবং ১০০ পিয়নের জন্য ১০০ কাঁড বরাদ্দ দেন।যেই কার্ড ও চাল গুলো হাকিম নেতা ও তার

 

পালিত পরিষদের চাল বহন কারি ও ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে। তালিকায় ধনী, বৃত্তবান,মৃত,দালান কোঠা ওয়ালা ব্যক্তিদের নাম আছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ কে এবার কোন সুবিধা ও বণ্টন দেয়া হয়নি। আদ্রা ইউনিয়নের দরিদ্ররা জানান – চালের আশায় রোজার ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। মনে হয় কোরবানির ঈদও চালের আশায় মাটি হবে। জানা যায়, আদ্রা ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ, ইউপি

 

চেয়ারম্যানদের রশি টানাটানিতে ভিজিএফ এর আওতায় ৩৬ শ’ দরিদ্র পরিবার ঈদে আযহার চাল থেকে বঞ্চিত হতে পারে । বঞ্চিতরা দশ কেজি চালের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরদের বাড়ি বাড়ি ধর্না দিচ্ছেন । সূত্র জানায়-আদ্রা ইউনিয়নের ৯টির জন্য ঈদে ৩৬০০কার্ডধারির মাঝে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়ার কথা। রাজনৈতিক দলের নেতা ও চেয়ারম্যানদের দ্বন্দ্বের কারণে এখন এপর্যন্ত পৌছে নাই দুঃস্থদের ঘরে

 

চাল।ওই সব পরিবার চাল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত ঈদুল ফিতরে চেয়ারম্যানের সৃস্ট দলের নেতাকর্মী ও চেয়ারম্যান- মেম্বার নিজেদের মাঝে ভাগাভাগি করে বণ্টন করেন ভিজিএফের চালের কার্ড। ওই সময় অধিকাংশ কার্ডের চালই কালোবাজারে বিক্রি হয়ে যায়। এতে বঞ্চিত হন দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা। এ ঈদে সব কার্ডই কালোবাজারে বিক্রি করার পাঁয়তারায় দলীয় নেতা কর্মি ও ইউপি চেয়ারম্যান খোকার মাঝে দ্বন্দ্ব

 

দেখা দেয়। এসব কারণেই এখনও পুরো ভিজিএফের চাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম খোকা জানান, আমার নেতাদের ও মেম্বার দের তালিকা জমা দিতে দেরি হওয়ায় তারা ভিজিএফের চাল বিতরণ করতে পারছেন না। চেয়ারম্যান আরো বলেন – আমি উপরের জানিয়েই ৮/৯ কেজি দিয়েছি।ঘাটতি কে পুরাবে? সাবেক চেয়ারম্যান ও কযেকজন সুধী জানান, ঈদ আনন্দ ময় তাই প্রকৃত গরিবরা যাতে ভিজিএফের চাল পান ও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে এ জন্য আওয়ামীলীগ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top