বাগেরহাট প্রতিনিধি।। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাঃ কামরুননেছার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। গত বছরের জুন মাসে এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে তিনি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসকে অনিয়মের আকড়ায় পরিনত করেছেন। নিয়মিত অফিস না করা, দেরিতে এসে ইচ্ছেমত অফিস ত্যাগ করা, উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের
শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ ও এমপিও করাতে উৎকোচ গ্রহণ, বিভিন্ন জাতীয় দিবসগুলোতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা, টাকা ছাড়া কাজ না করা, সেবা গ্রহীতাদের সাথে দুর্ব্যবহার করাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। ফলে দুর্নীতিগ্রস্থ এই কর্মকর্তার আচরণে অন্তোষ বিরাজ করছে শিক্ষকদের মনে। উপর মহলে ভালো হাত থাকায় শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়মের প্রতিবাদ করতে সবাই ভয় পায় বলেন জানান ভুক্তভোগীরা। নাম
না প্রকাশ করার শর্তে মাধ্যমিক স্তরের কয়েকজন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক জানান, সম্প্রতি এ উপজেলার দুটি বিদ্যালয়ের স্তর পরিবর্তন ও একটি বিদ্যালয় নতুন এমপিওভুক্ত হয়। এ সকল বিদ্যালয়ে পূর্ব থেকে নিয়োগকৃত ও কর্মরত কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারীর বাদ দিয়ে নতুন লোককে পূর্বের নিয়োগ দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে এমপিওভুক্ত করণের ব্যবস্থা করেণ। বিষয়টি তদন্ত করলেই তার সত্যতা
পাওয়া যাবে। টাকা ছাড়া শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কোন সেবা দিতে নারাজ এই শিক্ষা কর্মকর্তা। এ ছাড়াও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোছা: কামরুননেছা প্রায়ই কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকেন । বিশেষ করে সরকারী ভাবে পালিত অধিকাংশ জাতীয় দিবসগুলোর অনুষ্ঠানে তাকে পাওয়া যায় না। স্থানীয় সাংবাদিকরা কোন তথ্যের জন্য ওই কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে তিনি রেগে যান। এমনকি সম্প্রতি দৈনিক
ইত্তেফাক পত্রিকার স্থানীয় সংবাদদাতা শেখর ভক্ত শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন দিয়ে একটি তথ্য জানতে চাওয়ায় তাকে তাকে বেয়াদব বলে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ ব্যাপারে চিতলমারী মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসাঃ কামরুননেছা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগই বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যশোর বাসা থাকায় এ উপজেলায় যোগদানের পর কয়েক মাস বাসা থেকে আসা-যাওয়া করলেও বর্তমানে আমি চিতলমারীতেই থাকছি।