অন্তর আহমেদ, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি: সরকারি বিধি নিষেধ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অফিস চলকালীন সময়ে বে-সরকারি ক্লিনিকের চেম্বারে রোগী দেখার অভিযোগ উঠেছে পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা.সাদিয়া ইসলাম এর বিরুদ্ধে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার ১৫ এপ্রিল বেলা ১১.৫৫ মিনিটে পতœীতলা উপজেলার নজিপুর ইসলামীয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে উপস্থিত হলে মিলে তথ্যের সত্যতার প্রমান। রোগী কে চিকিৎসাপত্র দেওয়া
অবস্থায় পাওয়া যায় পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা.সাদিয়া ইসলাম কে। অফিস চলাকালিন অবস্থায় আপনি চেম্বারে কি রোগী দেখতে পারেন কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি সাংবাদিককে বলেন, অফিস চলাকালীন সময়ে আমি কেন, কোন সরকারি ডাক্তারই চেম্বারে রোগী দেখতে পারেনা। আমার প্রয়োজনে আমি রুগী দেখছি আপনাদের সমস্যা কি? ডা. সাদিয়া ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হয় সরকারি নিয়ম নীতিমালা উপেক্ষা করে অফিস চলাকালীন বে-
সরকারি ক্লিনিকে কোন রোগী দেখার সুযোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাই আমি রুগী দেখলে আপনাদের সমস্যা কি? এতো মানুষ থাকতে হঠাৎ আমার পিছনে লাগছেন কেন? আপনারা দু’টাকার সাংবাদিক কাজ নেই তাই আমার পিছুনে লেগেছেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে আপনাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করবো। এই বিষয়ে পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রুগী নিয়ে আসা, শান্ত ইসলাম বলেন, আমরা গরীব অসহায় মেহনতী মানুষ ভালো চিকিৎসা সেবা পাওয়ার
জন্য সরকারি স্বাস্থ কমপ্লেক্েেস এসেছি কিন্তু এখানে এসে দেখি ডাক্তার নেই। আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তিনি সরকারি অফিস বাদ দিয়ে বে-সরকারি ক্লিনিকে রুগী দেখায় ব্যাস্থ। কিন্তু সরকার বলেছেন ক্লিনিক নয় সরকারি হাসপাতালেই রুগী দেখতে চলেছেন ডাক্তারদের কিন্তু তাঁরা টাকার জন্য বেসরকারী ক্লিনিকে রুগী দেখায় ব্যস্থ। আমরা গরীব মানুষ কিছু টাকা বাঁচানোর জন্য এখানে আমার মতো অনেকেই রুগী নিয়ে এসেছেন। ওনি টাকার জন্য বেসরকারী ক্লিনিকে সেবা দিলে
আমরা যাবো কোথায় আমরা অসহায় দিন আনি দিন খাই। সরকারের কাছে আকুল আবেদন এর একটি সঠিক বিচার হওয়া দরকার। পতœীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, অফিস চলাকালিন সময়ে ডা. সাদিয়া চেম্বারে রোগী দেখেছেন এই বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি এবং সত্যতাও পেয়েছি। বিধি মোতাবেক ওনার বিরুদ্ধে তদন্ত অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।