রিপোর্টার মিজানুর রহমান :::: খুলনা ভিকটিম ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থী। সে খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানা এলাকায় বসবাস করতো। স্কুলে যাওয়া আশার পথে ভিকটিমের সাথে আসামী শান্ত বিশ্বাসের পরিচায় হয়। গত ২৯ জুন ২০১৯ তারিখ বিকালে আসামী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে সাহেবের কবরখানার সামনে ডেকে নেয়। সেখান থেকে কৌশলে আসামী সোনাডাঙ্গা মডেল থানাধীন বিহারী কলোনীর মোড়ে অবস্থিত ৫নং আসামীর ভাড়া বাসায় নিয়ে
আসামীরা পালাক্রমে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের বোন বাদী হয়ে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি তখন বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বিচারকার্য শেষে বিজ্ঞ আদালত উক্ত গণধর্ষণ মামলার অন্যতম পলাতক আসামী কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতমসহ ০৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ০৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬
(সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল উক্ত মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতমকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এবং র্যাব-১, ঢাকার একটি যৌথ আভিযানিক দল ১৫ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে ডিএমপি ঢাকার পল্লবী থানাধীন মিরপুর-১০ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত গণধর্ষণ মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামী ১। কাজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম(২৩), থানা-সোনাডাঙ্গা, কেএমপি খুলনাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে কেএমপি খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।