নিজস্ব প্রতিবেদক – খুলনায় দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং লিডার ‘আশিক’ এর নেতৃত্বে এমন কোন অপরাধ নেই যে করে না, এ বাহিনীর সদস্যরা গ্রুপ করে খুন, মাদক চোরাচালান, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, ইভটিজিং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও আধিপত্য বিস্তার করছে নতুন গ্যাংস্টার “আশিক”বাহিনির সদস্য নিলয় (২৪),মিরাজ (২৩),লেলিন (২৭),লোলে আশিক (২৩),সৌরভ (২৬), সালমান (২৫),পালসার সোহেল (৩২),হেলাল (২৪),দুলাল (২৮),ফয়সাল (৩০),কালা
সৌরাভ(২৯)কালা ইমরান(২৮),রুপসার আরিফ (৩৫),(সুরুজ (২৬),তানভির (১৭),আরিফ(১৮),ডালিম (৩০),জিহাদ(২৪),নাদিম(২৭),ঈমন(২৩), কনডম বাবু (২৬) জিয়া, এরা মহানগরী ও তার আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকা,ও অনেক পাড়া মহল্লায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে,”আশিক” বাহিনির কিশোর গ্যাংয়ের দলবদ্ধ বেপরোয়া আচরণ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সমাজে,শীর্ষ সন্ত্রাসী খাতায় নাম লিখিয়েছে আশিক বাহিনীর সদস্যরা, এরা বিভিন্ন নামে নানা ধরনের গ্রুপে বিভক্ত হয়ে
জড়িয়ে পড়ছে ভয়ংকর সব অপরাধে। দিনমজুর খেটে খাওয়া রিকশাচালক সহ সমাজের নামি দামি পরিবারে সন্তান বখাটে হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য পরিবারে অশান্তিতে দিন কাটাছে,শুধু মাদক সেবন করার অল্প টাকার জন্য খুন,ডাকাতি, চুরি, মানুষকে বিপাদে ফেলতে দ্বিধাবোধ করে না, এ বাহিনির সদস্যরা,তাই অতি দ্রুত আন্ডারগ্রাউন্ডে কিশোর গ্যাংয়ের লিডার “আশিকের” ইন্ধনদাতাদের অতি দ্রুতই আইনের আওতায় আনা না গেলে ধ্বংস হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
সামাজিক অনুশাসন কমে যাওয়া,বর্তমানের শিশু-কিশোররা মাদক নেশায় আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। কিছু অপর রাজনৈতিক দলের কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের গ্যাং কালচার গড়ে উঠছে। একাধিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, “আশিক”বাহিনির সদস্যরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে মাদকদ্রব্য সেবন সহ বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের কিশোর অপরাধে যুক্ত করে ছোট অস্ত্র দিয়ে ছিনতাই, ভয়ভীতি প্রদর্শন, এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও বিভিন্ন সমগোত্রীয় গ্রুপের সঙ্গে
প্রতিযোগিতামূলক কর্তৃত্ব স্থাপন করে। শুধু তাই না এরা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাদের নিজেদের বাবা-মাকেও হেনস্থা করতে পিছপা হয় না। এলাকায় স্থানীয় মুরব্বী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শন তো করেই না, বরঞ্চ ক্ষেত্রমতে তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অপমান করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। খুলনা জেলা প্রশাসক(ডিসি) খন্দকার ইয়াসিন আরেফীন বলেন, কিশোরদের রাজনৈতিক ব্যবহারের কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের গ্যাং কালচার গড়ে উঠেছে,পুলিশের কঠোর
নজরদারি এবং পরিবারের নজরদারি ও মূল্যবোধ দিয়ে কিশোর অপরাধ কালচার অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। খুলনা.কেএমপি.লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো.লিয়াকত আলী জানান,থানায় এদের বিরুদ্ধে একাধিক অস্ত্র,ধর্ষণ,চাঁদা বাজি,দখলদারি,মাদকের মামলা রয়েছে, তবে “আশিক “বাহিনীর নাম নতুন শোনা যাচ্ছে, এ বাহিনীর বিরুদ্ধে লিখিত কোন অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।