নিজস্ব প্রতিবেদক – খুলনায় দিন দিন ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে কিশোর গ্যাং লিডার ‘আশিক’ এর নেতৃত্বে এমন কোন অপরাধ নেই যে করে না। গ্রুপ করে খুন, মাদক চোরাচালান, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, ইভটিজিং, ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও আধিপত্য বিস্তার করছে আশিক বাহিনি। মহানগরী ও তার আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ‘কিশোর গ্যাং”লিডার আশিক’ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে, গত ৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় কোটচক্র বাইরে কেসিসি মার্কেট এর সামনে আশিক বাহিনী দেশীয়
অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে শেখ মামুন(২৩) রাজু (২৫)নামের দুই বন্ধুর উপর হামলা করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল, মোটরসাইকেল,স্বর্ণের চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যায়। আশিক গ্যাংয়ের উৎপাতে অনেক পাড়া মহল্লায় উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে, আশিক বাহিনির কিশোর গ্যাংয়ের দলবদ্ধ বেপরোয়া আচরণ ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সমাজে। এরা বিভিন্ন নামে নানা ধরনের গ্রুপে বিভক্ত হয়ে জড়িয়ে পড়ছে ভয়ংকর সব অপরাধে। সন্তান বখাটে হয়ে যাওয়ায় অসংখ্য পরিবারে অশান্তি বিরাজ
করছে,আন্ডারগ্রাউন্ডে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের লিডার আশকের ইন্ধনদাতাদের অতি দ্রুতই আইনের আওতায় আনা না গেলে ধ্বংস হবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম বলছেন বিশেষজ্ঞরা, সামাজিক অনুশাসন কমে যাওয়া, বর্তমানের শিশু-কিশোররা ইউটিউব, ভায়োলেন্ট গেমস, পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার, কিশোরদের রাজনৈতিক ব্যবহারের কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের গ্যাং কালচার গড়ে উঠছে। পুলিশের কঠোর নজরদারি এবং পরিবারের নজরদারি ও মূল্যবোধ দিয়ে
কিশোর অপরাধ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। আশিক বাহিনির সদস্যরা বিভিন্ন ধরনের কিশোর অপরাধের সাথে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য সেবনসহ ছোট অস্ত্র ব্যবহার করে ছিনতাই, ভয়ভীতি প্রদর্শন, এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও বিভিন্ন সমগোত্রীয় গ্রুপের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক কর্তৃত্ব স্থাপন করা। শুধু তাই না এরা তাদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তাদের নিজেদের বাবা-মাকেও হেনস্থা করতে পিছপা হয় না। এলাকায় স্থানীয় মুরব্বী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সম্মান প্রদর্শন তো করেই না, বরঞ্চ
ক্ষেত্রমতে তাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও অপমান করে থাকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ দিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক অনুশাসন কমে যাওয়া, বর্তমানের শিশু-কিশোররা ইউটিউব, ভায়োলেন্ট গেমস, পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার, কিশোরদের রাজনৈতিক ব্যবহারের কারণে তাদের মধ্যে এক ধরনের গ্যাং কালচার গড়ে উঠছে। পুলিশের কঠোর নজরদারি এবং পরিবারের নজরদারি ও মূল্যবোধ দিয়ে কিশোর অপরাধ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। হামলার
শিকার মামুন ও রাজু এলাকাবাসীর সহযোগিতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হলে অবস্থার অবনতি হলে কর্মরত চিকিৎসক আমাকে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পূর্ণবাসন প্রতিষ্ঠান (NITOR) হাসপাতালে রেফার্ড করে। খুলনা.কেএমপি.লবনচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)মো.লিয়াকত আলী জানান,আমরা ইতিমধ্যে এজাহারে ১২ জনের নামে মামলা রুজু করেছি,আসামিদের আটক করার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।