জুড়ীতে ভাগ্নীকে ধর্ষণ মামলায় মামা আবার কারাগারে ধর্ষক কাশেম

 জাকির হোসেন ( মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলায় ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমান পাওয়ায় কাশেম মিয়া (৩২) নামে একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে জুড়ী থানা পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শেষে ডাক্তারি রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্টে ধর্ষনের আলামত পাওয়ায় অভিযুক্ত কাশেমের বিরুদ্ধে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ আহমদ। এ দিকে চার্জশিট প্রদানের পর (৪ এপ্রিল) মঙ্গলবার ধর্ষণ

মামলায় হাজিরা দিতে গেলে মৌলভীবাজার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত তার জামিন বাতিল করে ফের কারাগার প্রেরণের নির্দেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে মৌলভীবাজার কারাগারে পাঠায় কোর্ট পুলিশ। কাশেম মিয়া উপজেলার সদর জায়ফরনগর ইউনিয়নের পশ্চিম ভবানীপুর গ্রামের শামসু মিয়ার ছেলে। ২০২২ সালের  (২১ আগস্ট) ভোরে  ধর্ষক কাশেম মিয়াকে  বসতবাড়ী থেকে গ্রেফতার করে জুড়ী থানা পুলিশ। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ধর্ষিতা মেয়েটি

অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার স্ত্রীর আপন বোনের মেয়ে। আত্মীয়তার সূত্রে সে প্রায়ই তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতো। আসা-যাওয়ার একপর্যায়ে মেয়েটির সাথে প্রেমের  সম্পর্ক গড়ে তোলে কাশেম। গত ২০২২ সালের ১৯ আগস্ট কৌশলে কাশেম মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলা কুলাউড়ায় নিয়ে যায়। সেখানে এক জায়গায় রেখে মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে দুই দিন ধরে  ধর্ষণ করে।  এ ঘটনার জানাজানি হলে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ ধর্ষক কাশেমকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার

করে এবং ভিকটিম কে পুলিশে হেফাজতে নিয়ে আসেন। পরে মেয়েটির মা থানায় বাদী হয়ে অভিযুক্ত কাশেমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন (যার মামলা নং ০৭, তারিখ ২১/০৮/২০২২) । এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ মিয়া বলেন, এ ঘটনার তদন্ত শেষে ডাক্তারি রিপোর্ট ও ডিএনএ টেস্ট রিপোর্টে ধর্ষনের

আলামত প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত কাশেম মিয়ার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে আলাপকালে মৌলভীবাজার জজ কোর্টের বিজ্ঞ এডভোকেট শওকতুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, যদি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারা প্রমাণিত হয় তাহলে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অন্যূন ১৪ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ড হইবে। অন্যদিকে একই আইনের ৯(১) ধারা প্রমাণিত হলে আসামির অনধিক ১০ বৎসর কিন্তু অন্যূন ৫ বৎসর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হইবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top