পাইকগাছা প্রতিনিধি::::: পাইকগাছায় অভিযোগ উঠেছে স্কুলের জমি’র দখল ছাড়তে বলায় ম্যানেজিং কমিটি’র সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্যসহ ৪ জনের নামে অভিযোগ করে ফাঁয়দা নিতে চাচ্ছে একটি পরিবার। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সোলাদানা ইউপির চারবান্দায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি সমাধানের জন্য দু’পক্ষের মধ্যে বসাবসি’র উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে জানাগেছে, গত সপ্তাহে চারবান্দা মাধ্যঃ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল
ইসলাম রবি স্থানীয় মৃতঃ আবুল কাশেম ফকিরের ছেলে আনিছুর রহমান ফকিরের কাছ থেকে কোবলা দলিলে বি,আর,এস ৩১খতিঃ ২৫ দাগের ২ শতক জমি ক্রয় করে ঘর বাঁধলে বিপত্তি ঘটে। এ নিয়ে চারবান্দার অজিত সানার ছেলে অনিমেশ সানা বাদি হয়ে পাটকেলোতার জাফর মোড়ল ও রবিউল মোড়ল ও জমির মালিক জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম গাজীসহ তার ভাই সোলাদানা ইউপি চেয়ারম্যানের নামে থানায় অভিযোগ করেন। এ নিয়ে পত্র পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
ছড়ালে এক পর্যায়ে জমির দাতা আনিছ ফকির ও গ্রহিতা রবিউল ইসলাম রবি সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি করেছেন। জানাগেছে, শিক্ষা বিস্তারে ৬০দশকে চারবান্দার মৃতঃ দৈবচরণ সানার ছেলে পরিমল সানা এস,এ ৬৯ ও বর্তমান জরিপের -৩১ খতিয়ানের ২৪ ও২৫ দাগ থেকে ২ বিঘা জমি চারবান্দা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের নামে দান করেন। বর্তমান জরিপে ২৪ দাগ থেকে ৬০ ও ২৫ দাগ থেকে ৬ শতক মোট-৬৬ শতক জমি বাংলাদেশ সরকার অর্থাৎ স্কুলের নামে
রেকর্ড হয়েছে। ইতোপূর্বে একই দাগ-খতিয়ান থেকে স্থানীয় আবুল কাশেম ১ একর ৪০ শতক ও পরিমল সানা গংরা ১একর ৮৬ শতক জমি ক্রয় করে এ্যাওযাজ মুলে পরস্পরে ভোগ দখলে ছিলেন। এ সম্পর্কে আনিছুর রহমান ফকির জানান, জরিপে রেকর্ডকৃত আমার ২ শতক জমি জেলা পরিষদ সদস্য রবি গাজীর কাছে বিক্রয় করলে সে ঘর বাঁধে। তিনি অভিযোগ করেণ অনিমেশ সানার পরিবার স্কুলসহ দু’জায়গা থেকে জমি ভোগ করার চেষ্টা করছেন। অথচ সে মিথ্যা অভিযোগ করে জেলা
পরিষদ সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এ সম্পর্কে চারবান্দা মাধ্যঃ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য কল্যান সেন বলেন,পুর্ব পুরুষ থেকে হিস্যানুযায়ী এ দাগ-খতিয়ানের জমি আমরা, স্কুল ও আবুল কাশেম ফকিরের পরিবার এ্যাওয়াজ মূলে ভোগ দখল করছি। তবে তিনি স্বীকার করেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জমির উপর ৫/৬ টি দেকান ঘর অনিমেশ সানাসহ আমাদের দখল ও ভাড়া দিয়েছি। ক্রযকৃত জমিতে ঘর বাঁধার কথা স্বীকার করে চারবন্দা মাধ্যঃ বিদ্যালয়ের
সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য রবিউল ইসলাম রবি গাজী জানান,বি,আর,এস জরিপে ২৪ ও ২৫ দাগে স্কুলের নামে ৬৬ শতক জমি রেকর্ড হয়েছে। অথচ অনিমেশ সানা গংরা এ্যাওয়াজমূলে ২৪ দাগ থেকে প্রাইমারি স্কুলে সব জমি বুঝে দিয়েও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ ও আমার ক্রযকৃত জমি দখলে রাখার চেষ্টা করছেন। তিনি অভিযোগ করেন স্কুলের জমি ছাড়তে বলায় এ ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ করে ফাঁয়দা লোটার চেষ্টা করছেন।