স্টাফ রিপোর্টার :::: রংপুরে জাল দলিল ও চাঁদাবাজির মামলায় নাজমুল ইসলাম হুদাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রংপুর নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের রেলগেট বিনোদপুর এলাকায় ৭৪ শতক জমির জাল দলিল দিয়ে বিক্রয় করার দায়ে দুইজনের নামে থানায় মামলা করে খুরশিদুর রহমান প্রিন্স।(মামলা নং-১৬/১২৩) বুধবার (১৫ মার্চ ২৩) রাত ১টার দিকে মেট্রো কোতয়ালী থানায় (১) নাজমুল ইসলাম হুদা পিতা-মৃতঃ আব্দুল জব্বার, ও (২)কুসুম আক্তার (২৭) স্বামী- মোঃ নাজমুল ইসলাম হুদাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।উভয় সাং- মেসার্স হুদা ট্রেডার্স, পিটিসি রোড, রংপুর। এজাহার ও বাদী সুত্রে জানাযায়, বাদি খোরশিদুর রহমান প্রিন্স পেশায় একজন
ব্যবসায়ী। রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে প্রিন্স টুর এন্ড ট্রাভেলস নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নাজমুল ইসলাম হুদা ও তার স্ত্রী কুসুম আক্তার গিয়ে জমি বিক্রয়ের প্রস্তাব দেয়। যার তফশীলভুুক্ত মৌজাঃ বিনোদপুর জে এল-৯৮, সিএস খতিয়ান নং- ৩৬, এস এ খতিয়ান নং- ৩১, আরএস খতিয়ান নং- ৩১, খারিজ খতিয়ান নং- ৪৫০, হোল্ডিং- ৪৪৮, সিএস/এসএ দাগ নং- ১৫৬, ১৭৭, ১৬২, ১৬৪, হালদাগ নং- ৩১৫, ৩১৬, মোটঃ- ৭৪ শতক জমি। খোরশেদুর রহমান প্রিন্সের প্রতিনিধিরা গিয়ে জমি দেখে এসে ক্রয়ের ইচ্ছা পোষণ করেন। ২১-০২-১৯৯২ ইং প্রতারণার উদ্দেশ্যে নাজমুল হুদা তার জাল দলিল নং- ১৬৬০২ প্রতিনিধিদের নামে
উক্ত জমি অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তার নামা দলিল নং- ১৯৯৮৯/২১ মূলে প্রতিনিধিদেরকে দলিল করে দেয়। যাহার মূল্য ৭৫ লক্ষ টাকা। নগদ ৬ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে তাদের পক্ষে খোরশেদুর রহমান প্রিন্স অবশিষ্ট টাকার বিনিময়ে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল শাখার হিসাব নং- ২০৫০৬৫৭০৯০০০০০১১৪ এর জন্য ইস্যুকৃত চেকের পাতা নং- আইডিবি- ১৪৯৮৬০৯ নাম্বারে বাকি ৬৯ লক্ষ টাকার স্বাক্ষরিত চেক প্রদান করেন। পরবর্তীতে সন্দেহজনক মনে হইলে জমির দলিল যাচাই করার জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে গেলে সেই দলিলের কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। নাজমুল হুদাকে জাল দলিলের বিষয়ে অবগত করে নগদ ৬ লক্ষ টাকা ও চেক
ফেরত চাইলে আসামি নাজমুল হুদা সুকৌশলে এড়িয়ে যায়। এ ব্যাপারে মামলার বাদি খুরশিদুর রহমান প্রিন্স বলেন, নাজমুল হুদা চুক্তি ভঙ্গ করিয়া প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে আমার নামে বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। আমি নাজমুল হুদার কাছে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে সে আমার কাছে ৬৯ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে যদি টাকা না দেই সে আমাকে মামলা তুলে নেবে না। ওয়ারেন্ট বের করে জেল খাটাবে বলে হুমকি দেয়। ও অন্য ব্যক্তিকে কোর্টে হাজির করে জামিন করায়।
পরবর্তীতে ঐ ব্যক্তিকে কোর্টে হাজির না দেখাইয়া আমাকে পলাতক দেখাইলে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। ঐ মামলায় ১৩ মার্চ বিজ্ঞ আদালতে জামিন লাভ করি। এরপর জামিন পাওয়ার খবর শুনে নাজমুল হুদার লোকজন হুমকি ধমকি দিতে থাকে । তিনি আরো বলেন ১৩ মার্চ সোমবার বিকালের দিকে কোর্টের কাজ শেষ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে টার্মিনালের দিকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার ও জামে মসজিদের সামনে আসামি নাজমুল হুদা ও অপরিচিত ১০-১২ জন ব্যক্তিরা পথরোধ
করে আমার কাছে ৬৯ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ধাক্কাধাক্কি করে মারার প্রস্তুতি নেয় জীবন বাঁচার তাগিদে চিৎকার করি পরে আশেপাশের লোকজন আসিয়া আমাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মাহফুজার রহমান বলেন, নাজমুল হুদাকে জাল দলিল, চাঁদাবাজি ও প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত নাজমুল হুদার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।