প্রতিবেদক: জালাল উদ্দিন:::: মৌলভীবাজার জেলা সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর এলাকায় কাভার্ডভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে মুন্নি বেগম (৪) নামের এক শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে এদিন রাত সাড়ে ৮টার সময় রাজনগরের চাটুরা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে মোটর সাইকেল আরোহী আবুল খায়ের গ্রুপের মার্কেটিং অফিসার সুহেল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ ইং, মৌলভীবাজারে
পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু মুন্নি বেগম পাশের বাসায় শিরনি খাওয়ার জন্য অন্য শিশুদের সাথে পায়ে হেঁটে যাচ্ছিল। এ সময় শ্রীমঙ্গল থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ন ২০-৮৯৬১) মূল সড়ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই শিশুটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। গতকাল (সোমবার) সন্ধ্যার সময় মৌলভীবাজার শহরতলীর শ্রীমঙ্গল সড়কে জগন্নাথপুর এলাকার পল্লিবিদ্যুৎ জোনাল কার্যালয়ের সামনে এই মর্মান্তিক
দুর্ঘটনাটি ঘটে। এসময় উত্তেজিত জনতা কাভার্ডভ্যানটিকে আটক করলেও ঘাতক চালক পালিয়ে যায়। তবে কাভার্ডভ্যানের হেলপারকে আটক করতে সক্ষম হন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। নিহত শিশুর বাবা মুন্না মিয়া পেশায় একজন ট্রাক শ্রমিক। শিশুটি তার বাবা-মায়ের সাথে শ্রীমঙ্গল সড়কের পাশের হুমায়ুন মিয়ার কলোনিতে বসবাস করত। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই শিশুর মরদেহ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য
নিয়ে যায়। মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় চালক পলাতক রয়েছে। তবে গাড়ির হেলপারকে আটক করা হয়েছে। অপরদিকে গতকাল (সোমবার) রাত সাড়ে ৮টার সময় মৌলভীবাজারের রাজনগরের চাটুরা এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা লেগে মোটর সাইকেল আরোহী আবুল খায়ের গ্রুপের
মার্কেটিং অফিসার সুহেল আহমেদ নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তার বাড়ি কুমিল্লায় বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়। স্থানীয়রা দুর্ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের নিশ্চিত করেন রাজনগর থানার এসআই মোহাম্মদ ওয়াবেদ।