চেয়ারম্যান টিপুর নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন,শান্তি ফিরেছে অশান্তির জনপদে

এসএম রুবেল চাঁপাইনবাবগঞ্জ::::  দক্ষ ও কর্মঠ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপুর নেতৃত্বে এখন চাঁপাইনবাবগঞ্জে রোল মডেল হয়েছে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ। পরপর দুইবার জনগণের ভালোবাসায় শাহিদ রানা টিপু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদের পরিবর্তনের হাওয়া শুরু হয়েছে।বর্তমান চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ যেন ইউনিয়নবাসীর আশ্রয়স্থালে পরিনত হয়েছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউনিয়ন পরিষদের সকল নির্বাচিত সদস্যরা

মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে শতভাগ মাদক মুুক্ত ইউনিয়নে পরিনত হয়েছে। সেইসাথে সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা দিতে ইউনিয়নবাসীকে প্রতি মুহূর্তে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকছে নির্বাচিত সদস্যরা। তারা নিজ নিজ ওয়ার্ডের অসহায় অক্ষম মানুষের জন্য বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা সরকারি সুযোগ সুবিধা জনগণের মাঝে বিলিয়ে দিচ্ছেন। চরবাগডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওদুদ বলেন,আমরা এমন শান্তিপ্রিয় ইউনিয়ন পায়নি কোনদিন। আমরা এখন অত্যন্ত সুখে শান্তিতে বসবাস

করছি। এটা শুধুমাত্র সম্ভব হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানের ইচ্ছাতেই। কারণ তিনি জনগণের সেবক হিসেবে সফল হবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানে আমাদেরকে আর হয়রানি পোহাতে হয় না। বয়স্ক প্রতিবন্ধী বিধবা ভাতার কার্ড টাকা দিয়ে বানাতে হয় না। গৃহবধূ জরিনা বেগম বলেন,আগে একটু কিছু হলেই অশান্তি লাগতো বোমাবাজি হতো,এসব লেগে থাকত আমাদের এলাকায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এমন অশান্তি থেকে আমরা মুক্ত। চেয়ারম্যান টিপুর মত এমন জনসেবক

আর কখনো দেখিনি ও পায়নি। জনগণের সেবা দেয়ার কারণে আমরা তাকে পুনরায় ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছি। বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়া আহমেদ আলী জানান,মাদকের বিরুদ্ধে টিপু চেয়ারম্যানের ভূমিকা অত্যন্ত সাবলীল। চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে কেউ মাদকের ব্যবসা করলে তার কোন ছাড় নেই ইউপি চেয়ারম্যান টিপুর কাছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে তা দমন করেন এবং মাদক ব্যবসায়ীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেন তিনি। কিন্তু কিছু কুচক্রী মহল তার বিরুদ্ধে নানা

রকম ষড়যন্ত্র করে উল্টো মাদকের সাথে তার নাম জড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই। যুবক মনোয়ার হোসেন কামাল বলেন,গত ছয় বছরে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চিত্র পুরোপুরি পাল্টে গেছে। ছয় বছর আগে কেউ এখানে এসে থাকলে ও এখন আবার আসলে,আমি নিশ্চিত সেই ব্যক্তি বিভিন্ন সড়ক রাস্তাঘাট দেখে চিনতে পারবে না। কারন টিপু চেয়ারম্যানের বদৌলতে এই এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শান্তি ফিরে এসেছে অশান্তির জনপদে। এমনকি তার

জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্নিত হয়ে তাকে মাদকের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে জড়িয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার আসামি করা হয়েছে। এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শাহিদ রানা টিপু বলেন,আমি নির্বাচিত হওয়ার পর ৮০০ বয়স্ক ভাতা,৩৫০টি বিধবা ভাতা,৪০০ প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। আমার ইউনিয়নে মাদকের বিরুদ্ধে আমি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছি,তা এলাকার সাধারণত মানুষ তা

জানে। এমনকি এই কাজে ইউনিয়নের জনগনও আমাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে। তিনি আরও জানান,ইউনিয়ন পরিষদে আসা সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা জনগণের মাঝে বিতরণ করি। ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকা চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের চিত্র পাল্টে দিতে নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এলাকার শিক্ষার উন্নয়ন বাড়ার প্রত্যাশায় টিপু সুলতান নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি।যা আমার নিজস্ব অর্থায়নে,কিন্তু ভোটে হেরে আমাকে অপদস্ত করতে নানা অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। হিংসার রাজনীতির শিকার হচ্ছি বারবার। শত বাধা আসলেও তবুও আমি জনগনের কল্যানে কখনও পিছ পা হবো না।ইউনিয়ন বাশির সেবা করে আমি বেঁচে থাকতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top