খুলনায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত

সাগর কুমার বাড়ৈ জেলা প্রতিনিধি খুলনাঃ   খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে খুলনা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয় ।একুশের প্রথম প্রহরে নগরীর শহিদ হাদিস পার্কে শহিদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ও মহানগর কমান্ড, কেসিসি’র মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয়

    কমিশনার  জিল্লুর রহমান চৌধুরী, কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মাসুদুর রহমান ভূঞা, রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, জেলা পরিষদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বেতার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, খুলনা প্রেসক্লাব, চেম্বার অব কমার্স, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি

প্রতিষ্ঠান ও ভবন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ভোর হতেই প্রভাতফেরী সহযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহিদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে।সকালে নগরভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। একুশ আমাদের অহংকার। দেশের স্বাধীনতা-সংগ্রামসহ সকল

আন্দোলন-সংগ্রাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু কারাগারে বন্দি থেকেও এই আন্দোলনে পরোক্ষভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আগামী প্রজন্মের কাছে ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে মেয়র অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।মহান শহিদ দিবস উপলক্ষ্যে বাদ জোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ নগরীর

সকল মসজিদে শহিদদের রূহের মাগফেরাত ও দেশের কল্যাণ, শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া মন্দির, গীর্জা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমান চলচ্চিত্র

প্রদর্শন ও একুশের পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতারের খুলনা কেন্দ্র এ উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top