খানজাহান আলী থানা প্রতিনিধি ঃ নগরীর মীরেরডাঙ্গা মৃত শিল্পাঞ্চলকে পুনজীবিত করতে নিউ বসুন্ধারা গ্রæপ এ্যাযাক্স জুট মিলকে ঘিরে টেক্সটাইল পল্লীর পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অন্তরায় হয়ে দাড়ায় শেখ পরিবার, স্থানীয় এমপি, কাওছার জামান বাবলা এবং স্থানীয় কিছু ব্যক্তি এমনটাই দাবী করেন নিউ বসুন্ধারা গ্রæপের চেয়ারম্যান মিলের মালিক দাবী করা বিশিষ্ট শিল্পপতি এম এ মান্নান তালুকদার। গতকাল ২জুন সোমবার সকালে বন্ধকৃত এ্যাযাক্রা জুট মিলস লিমিটেডের শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঈদ উপহারের নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন ২০১৩ সালে এ্যাযাক্রা জুট মিলের পূর্ববর্তী মালিক শ্রম আইন সম্পুন্ন লঙ্গন করে মিলটি
বন্ধ করে দেয়। বন্ধকৃত এই মিলের ২ হাজার ৬০ জন শ্রমিক-কর্মচারী তাদের পাওনা চুড়ান্ত বিলের টাকার জন্য শুরু করে আন্দোলন সংগ্রাম। শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা বাবদ প্রায় ৩৫ কোটি টাকা এবং মিলটি সোনালী ব্যাংকের কাছে ৮৫ কোটি ঋণের বোঝা নিয়ে মালিক মিলটি বিক্রির পরিকল্পনা গ্রহন করে। ২০১৪ সালে মিলের মূল মালিক মো. কাওছার জামান বাবলা বিশ কোটি টাকায় মিলটি বিক্রয় করে। মিলের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দিন ব্যপোক শো ডাউনের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দিয়েছিলাম শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের সকল বকেয়া পরিশোধ করে মিলটিকে ট্রেক্সটাইল পল্লীতে রুপান্তরের কথা। ঘোষণা অনুযায়ী মিলের ২ হাজার ৬০ জন শ্রমিকের মধ্যে সে বছরের ১৯ মে’র মধ্যে প্রায় ১৫শ শ্রমিক-কর্মচারীর চুড়ান্ত বিলের এককালিন নগদ টাকা আমি পরিশোধ করি। বাকি ৬শ শ্রমিক-কর্মচারীদের সকল পাওনা
আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। কিন্তু পাওনা পরিশোধে অন্তরায় হয়ে দাড়ায় শেখ পরিবার, স্থানীয় এমপি বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান এবং কাওছার জ্জামান বাবলাসহ স্থানীয় কিছু ফ্যসিস্টের দোসর। পরিকল্পিতভাবে মিলটি যাতে নতুন উদ্যোমে না চলতে পারি এজন্য আমাকে সুকৌশলে পরিকল্পনা করে পাঠানো হয় কারাগারে। দীর্ঘ ৭ বছর আমাকে জেলে রেখে আমার মিলটিকে লুটপাট করে নিয়েগেছে। তিনি গতকাল মিলের শ্রমিক কর্মচারীদের মাঝে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। এ সময় এম এ মান্নান তালুকদার ঘোষণা দেন আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে মিলের বাকী ৬শ শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হবে। এ পর্যন্ত মিলের সকল শ্রমিক-কর্মচারীকে মিলটি তাদের নিজ দায়িত্বে রেখে পাহারা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদেরকে মিল ক্রয়ের বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রদর্শন করেন নিউ বসুন্ধরা গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মান্নান
বেসরকারি পাট সুতা বস্ত্রকল শ্রমিক ফেডারেশ ও ্এ্যাযাক্রা জুট মিলস লিঃ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের আয়োজনে কেসিসি ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন মিজানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্যা সোহাগ হোসেন, বিএনপি নেতা ইমদাদুল হক, মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলামসহ মিলের সিবিএ ও স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ কেসিসি ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলম রফিক, যোগিপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মীর শওকত হোসেন হিট্টু, আব্দুল হাই রুমি শিকদার, মহিলা দল নেত্রী মলি চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, শ্রম পরিচালক দপ্তরের কর্মকর্তা, কলকারখানা পরিদর্শক দপ্তরের কর্মকর্তা, শিল্প পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্ত, থানা পুলিশসহ মিলের শতশত শ্রমিকগণ উপস্থিত ছিল।