তেরখাদায় পচা মাংস ও পচা নাড়িভুড়ি বিক্রি করার সাহেব আলী আটক, জরিমানা ১০হাজার টাকা

IMG_20250516_104127.jpg

Oplus_131072

তেরখাদা প্রতিনিধিঃ পচা মাংস এবং পচা নাড়িভুঁড়ি বাড়িতে রান্না করে তেরখাদা থানার প্রবেশদ্বারের হোটেলে বিক্রী করার অভিযোগে ১৫ মে দুপুর ১২টার দিকে সাহেব হোটেলের মালিক সাহেব আলীকে আটক করে যৌথ বাহিনীর একটি চৌকস দল। সাহেব আলী দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ বাহিনীর একটি দল গতকাল সকাল থেকে সাহেব আলীর গতিবিধি অনুসরণ করছিলেন। সে খুলনা থেকে সিএনজি তে করে পচা মাংস, পচা নাড়ীভূড়ি নিয়ে বাড়ির দিকে আসছিলো। সে তার বাড়ির অদূরে পৌছালে তাকে সিএনজির পচা মাংস ও ভুড়িসহ তাকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আটক করে।

সংবাদ পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখি শেখ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি যৌথ বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে সাহেব আলীর দোকানে এবং বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। পচা মাংস এবং পচা নাড়িভুড়ি আমদানি করে তা বাড়িতে রান্না করে হোটেলে বিক্রি করার অপরাধে প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আঁখি শেখ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। পচা মাংস ও পচা নাড়িভুড়ি বিক্রি করার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আখি হোটেল মালিক সাহেব আলীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং খুলনা থেকে আমদানিকৃত পচা মাংস ও পচা নাড়িভুঁড়ি জনসমক্ষে বিনষ্ট করেন।

যা মাটিতে পুতে ফেলানো হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর দোহলে রানা, যৌথ বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানান, তেরখাদায় প্রতিদিন ৩/৪টা গরু জবাই হয়। কয়েকশ কেজি মাংস বিক্রি হয় অথচ সাহেব আলী রহস্যজনক কারণে খুলনা থেকে এসব মাংস আমদানি করে। স্থানীয় লোকজন হোটেল মালিক সাহেব আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। অপরদিকে হোটেল মালিক সাহেব আলী থানার সামনে জনসমক্ষে দু’হাত তুলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের অপকর্ম থেকে বিরত থাকবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *