জমি-জমার বিরোধ নিয়ে নিজ চাচা কর্তৃক ভাতিজাকে হত্যা

IMG_20250223_111127.jpg

Oplus_131072

শ্রী মিশুক চন্দ্র ভুঁইয়া পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী জেলা গলাচিপা উপজেলা জমি নিয়ে নিজ চাচা কর্তৃক ভাতিজাকে হত্যার চাঞ্চল্যকর এজাহারনামীয় পলাতক চার(৪) জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব, পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে খুন হয় ভাতিজা শামিম মিয়া (৩০)।উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে র‍্যাব-৮,সিপিসি-১ পটুয়াখালী ক্যাম্প আসামি গ্রেফতারে তৎপর হয় এবং পাবনায় আসামিদের অবস্থান নিশ্চিত করে র‍্যাব-১২,সিপিসি-২,পাবনাকে জানালে উক্ত কোম্পানি অদ্য ২২/০২/২০২৫ইং ১৭:০০ ঘটিকায় জনৈক ফজলু সরদার,পিতা: ইয়াকুব সরদার,সাং-ভাড়ারা
উপজেলা: পাবনা সদর,এর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে চারজন আসামিকে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন।

১) মো.কুদ্দুস শিকদার(৫৫)পিতা- ইসমাইল শিকদার
২) মোছা. রেহানা বেগম(৪৮)স্বামী: মো. কুদ্দুস শিকদার ৩) মো. এনামুল(২২)পিতা: মো.কুদ্দুস শিকদার ৪) মোছা. সুখী বেগম(২৫)পিতা- মো. কুদ্দুস শিকদার।ঘটনাসূত্রে জানা যায়,পটুয়াখালীর গলাচিপায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে চাচার হাতে খুন হয় ভাতিজা শামিম মিয়া (৩০)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার বাবা অজেদ সিকদার (৫৫) ও বড় ভাই রেজাউল ইসলাম (৩২)। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। গত বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড গ্রামারোদন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত শামিম পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তার দুই নাবালক সন্তান জুনায়েদ (৪) ও জুম্মান (দেড় বছর) এতিম হয়ে গেল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুদ্দুস সিকদার ও অজেদ সিকদারের মধ্যে বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। অজেদ সিকদার সম্প্রতি আদালতের মাধ্যমে ওই জমিতে ঘর তুলতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ১৪৪ ধারা জারি করেন। তবে কুদ্দুস সিকদার আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক ঘর তোলা শুরু করলে অজেদ সিকদার থানায় অভিযোগ করেন।পুলিশ এসে ঘর তোলার কাজ বন্ধ করে দিলেও কুদ্দুস সিকদার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবারও ঘর তুলতে গেলে বাধা দেন অজেদ সিকদার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কুদ্দুস সিকদার (৫৫), তার ছেলে এনামুল সিকদার (২৬) ও স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০) মাটি কাটার কোদাল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অজেদ সিকদারের ওপর হামলা চালায়।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে তারা অজেদ সিকদারকে মারধর করলে তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন তার দুই ছেলে শামিম ও রেজাউল। তখন তাদেরও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। হামলায় তিনজনই শরীরের বিভিন্ন অংশে ও মাথায় মারাত্মকভাবে আহত হন।স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ওইদিনই

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে শামিমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান। এদিকে রেজাউল ও অজেদ সিকদারও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাদের অবস্থা আশংকাজনক।এ ঘটনার পর অভিযুক্ত কুদ্দুস সিকদার, এনামুল সিকদার ও রেহেনা বেগম পলাতক ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে স্থানীয় পাবনা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top