মনোয়ার হোসেন জয়পুরহাট::: জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার দরগাপাড়া এলাকায় সাবেক স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় কারাগারে গেছেন স্বামী মোঃ আসাদুল ইসলাম। গত,২৩/১/২৫ তারিখে জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল আদালতে হাজিরা দিয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে সাবেক স্ত্রীর আদালতে দায়ের করা যৌতুক মামলা মিথ্যা বলে দাবি করেছেন স্বামী আসাদুলের পরিবার। এঘটনায় মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে আসাদুলের বাবা মোঃ মোহাতাব হোসেন সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সংবাদ সম্মেলনে আসাদুলের বাবা মোহাতাব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় আট বছর
আগে আমার ছেলের সঙ্গে উপজেলার মহিপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে পিংকি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৭ বছরের এক কন্যা সন্তানও আছে। বিবাহের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ কিছুদিন থেকে তাদের মাঝে মনমালিন্য দেখা দেয়। এজন্য ছেলের বউ তাদের সংসারে যেন অশান্তি না হয়, স্বামী স্ত্রী এক সাথে ভালো ভাবে থাকতে পারে সেজন্য বাড়ীর পাশে ঝাড়ফুঁক দেয় কবিরাজ সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে এক মেয়ের মাধ্যমে তাবিজ নেয় পিংক আক্তার।
এরপর থেকে তাবিজের কারনে সংসার টিকার বদলে আরোও অসান্তি দেখা দেয়। তাদের মধ্যে ঝগড়া ঝাটি আরও বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে আমার ছেলে তার স্ত্রীকে জয়পুরহাট আদালতের মাধ্যমে তালাক প্রদান করেন। এদিকে তালাকের কাগজ হাতে পেয়ে ছেলের বউ তার স্বামীর নামে আদালতে একটি মিথ্যা যৌতুকের মামলা দায়ের করেন এবং সেই মামলায় জামিন নিতে গিয়ে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
এখন তথাকথিত সাইফুল কবিরাজের তন্ত্রমন্ত্রের মাধ্যমে আমার ছেলের সংসার ভাঙাসহ সে এই মামলা করেছে। সেজন্য আমরা তথাকথিত সাইফুল কবিরাজের বিচার চাই। এ বিষয়ে তথাকথিত সাইফুল কবিরাজ বলেন,তারা আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দিয়েছে তা মিথ্যা। আমি তাদের সংসারের অশান্তি দুর করার জন্য কিছু তাবিজ, পানি পড়া,তৈল পড়া,গাছের শিখর ইত্যাদি দেই।সংসার ভাংগার জন্য নয়।