সাগর কুমার বাড়ই খুলনা::: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি (এফএমআরটি) ডিসিপ্লিনের আয়োজনে ‘মেরিন লিটার এন্ড কোস্টাল ইকোসিস্টেম নেক্সাস-(মেরিনেক্স)’ শীর্ষক ৩ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯.৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে এ সিম্পোজিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম। এ সময় তিনি বলেন, সামুদ্রিক দূষণের ক্রমাগত প্রভাবের মতো গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে বর্তমান বিশ্ব। সামুদ্রিক দূষণের এই বহুস্তরীয় সমস্যা সমাধানে জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। অবস্থানগত কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে হওয়ায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এই প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছে। তিনি সামুদ্রিক দূষণরোধে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, জার্মানির বাউহাউস বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো সম্মানিত অংশীদারের সাথে নলেজ শেয়ারিং, সংলাপ এবং উদ্ভাবনী সমাধানের বিকাশের জন্য এই সিম্পোজিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম। সামুদ্রিক দূষণ মোকাবেলা ও উপকূলীয় বাস্তুতন্ত্র রক্ষার জন্য রোডম্যাপ তৈরিতে এটি অবদান রাখবে বলে আশা করছি। উপাচার্য সামুদ্রিক বিজ্ঞানে গবেষণা ও শিক্ষার অগ্রগতির জন্য
এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের অর্জনের প্রশংসা করেন এবং একই সাথে এই মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম আয়োজনে তাদের ভূমিকার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি অংশগ্রহণকারী সকল দেশি-বিদেশি গবেষক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জিআইজেড বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য বিভাগের মুখ্য উপদেষ্টা ড. স্টেফান আলফ্রেড গ্রোয়েনেওল্ড, বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ গোলাম হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফএমআরটি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুর রউফ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. গোলাম সরোয়ার। সিম্পোজিয়ামে কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন জার্মানির ব্রেমেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লিবনিজ সেন্টার ফর ট্রপিক্যাল মেরিন রিসার্চের ম্যানগ্রোভ ইকোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. মার্টিন জিমার। পরে উপাচার্য অতিথিদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। তিন দিনব্যাপী এই সিম্পোজিয়ামে সাতটি দেশের প্রায় তিনশত শীর্ষস্থানীয় গবেষক ও নীতিনির্ধারক,
সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন অংশগ্রহণ করছেন। সিম্পোজিয়ামের প্রথম দু’দিনে ৯টি টেকনিক্যাল সেশনে ৫৩টি গবেষণা নিবন্ধ ও ১৫৮টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন করা হচ্ছে। এছাড়া তৃতীয় দিন সরেজমিন সুন্দরবন ট্রিপের মাধ্যমে এই সিম্পোজিয়াম শেষ হবে। জার্মান কো-অপারেশন এবং জিআইজেড এর আর্থিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ সিম্পোজিয়ামে বাংলাদেশসহ মালয়েশিয়া, জাপান, চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলঙ্কার গবেষক এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞগণ সশরীরে অংশগ্রহণ করছেন।
