নন্দীগ্রামে হলুদের সমারোহে সরিষা ক্ষেত, বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

IMG_20250108_175558.jpg

Oplus_131072

আব্দুর রউফ উজ্জল, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) ::::   কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রামে এখন হলুদের সমারোহে পুরো মাঠ সেজেছে নতুন সাজে। ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র। হেমন্তের শেষ দিকে উত্তরের হাওয়ায় ইতোমধ্যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত। এরই মধ্যে মাঠে মাঠে শোভা বাড়াচ্ছে সরিষা ফুল। গ্রামের বিস্তীর্ণ মাঠে মাথা উঁচু করে ঝিলিক দিচ্ছে সরিষা ফুলের সোনালী হাসি। সরিষা ফুলে ঘুরে ঘুরে মধু সংগ্রহ করছে মৌমাছির দল। দু-চোখ জুড়ানো এমন দৃশ্য আকৃষ্ট করছে সবাইকে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটি সরিষা চাষের জন্য খুবই উপযোগী। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৪ হাজার ৫ শ’ ৬৬ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ২ শত ১৮ মেট্রিন টন। উপজেলার কৃষকরা তাদের অধিকাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল বারি-১৪, বারি-১৫, বারি-১৭, বারি-১৮, বারি-২০, বিনা-৯, বিনা-১১ ও স্থানীয় টরে-৭ ও ২০ জাতের সরিষা চাষাবাদ করেছেন। উপজেলার ২নং নন্দীগ্রাম (সদর) ইউনিয়নের ভাদুম (হাটপুকুরিয়া) গ্রামের সরিষা চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন এ বছর ৫ বিঘা জমিতে দেশী জাতের সরিষার আবাদ করেছি সরিষার গাছ খুব ভালো হয়েছে। আশা করছি বাম্পার ফলন হবে। গোছন গ্রামের কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিকের

 

সাথে কথা বললে তিনি বলেন আমি কৃষি অফিসের পরামর্শে উন্নত জাতের সরিষার চাষাবাদ করেছি। সরিষা চাষে প্রতি বিঘা জমিতে ৬-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। তাছাড়া সরিষার জমিতে ধানের আবাদও ভালো হয় এবং বোরো চাষে খরচ কম হয়। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ গাজিউল হক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান এ উপজেলার মাটি কৃষির জন্য খুবই উপযোগী। সেদিক বিবেচনায় রেখে সরিষা চাষিদের মাঠপর্যায়ে পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠে থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। সরিষা বপনের মাত্র ৭৫-৮০ দিনের মধ্যে এর ফলন পাওয়া যায়। তাই সরিষাকে কৃষকরা লাভের ফসল হিসেবে অভিহিত করে থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top